পাতা:বাহ্যবস্তুর সহিত মানব প্রকৃতির সম্বন্ধ বিচার (প্রথম খণ্ড).pdf/৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
[।৶৹ ]

না কোন বিষয়ে ভ্রান্তি থাকিতে পারে; অতএব, আপনাকে অভ্রান্ত জ্ঞান ও আপন মতকে ভ্রম-শুন্য বিবেচনা করিয়া তদ্বিরুদ্ধ সমুদায় অভিপ্রায়ে অবিশ্বাস করা কাহারও কর্ত্তব্য নহে। যে সমস্ত যথার্থ তত্ত্ব সদ্বিচার-দ্বারা প্রতিপন্ন হয়, তাহাই স্বীকার করা ও তদনুযায়ী অনুষ্ঠান করা কর্ত্তব্য। এই মানব প্রকৃতি বিষয়ক পুস্তকে যে সমুদায় অভিপ্রায় প্রকাশিত হইয়াছে, তাহা প্রত্যক্ষমূলক ও যুক্তিনিষ্পন্ন। বিশেষতঃ তাহা যথার্থ কি না, অনায়াসে পরীক্ষা করিয়া দেখা যাইতে পারে। বিশ্বনিয়ন্তার একটি নিয়মও বিফল হইবার নহে, তাহা প্রতিপালন করিলেই তৎক্ষণাৎ সুখ রূপ সম্পত্তি প্রাপ্ত হওয়া যায়।

 এতদ্দেশীয় লোকে সংস্কৃত বচন শুনিলেই তাহাতে শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস করেন, এবং তদ্বিরুদ্ধ বাক্য প্রত্যক্ষসিদ্ধ হইলেও অবিশ্বাস করিয়া থাকেন। তামাদিগের এই বিষম কুসংস্কার মহানর্থের মূল হইয়াছে। তাহা পরিত্যাগ না করিলে কোন ক্রমেই আমাদের মঙ্গল নাই। পূর্বে যেমন ভারতবর্ষীয় পণ্ডিতের স্ব স্ব বুদ্ধি পরিচালনপূর্বক জ্যোতিষাদি করেকটি বিদ্যার সৃষ্টি করিয়া সংস্কৃত ভাষায় লিপিবদ্ধ করিয়াছিলেন, সেইরূপ যবনাদি অন্যান্য জাতীয় পণ্ডিতেরাও স্ব স্ব ভাষায় বিবিধ বিদ্যা প্রকাশ করিয়াছিলেন। কিন্তু এক্ষণকার ইউরোপীয় পণ্ডিতেরা আপনাদিগের অসাধারণ বুদ্ধি-বলে ঐ সকল বিদ্যার যেরূপ উন্নতি করিয়াছেন, তাহার সহিত তুলনা করিয়া দেখিলে, সংস্কৃত