বিক্রমোর্কশী । ミ> চিত্র –আচ্ছা সখি! তুমি কাকে আগে পাঠিয়েছ বল দিকি ? উৰ্ব্ব –হৃদয়কে । চিত্র –কিন্তু তুমি আপনি এ বিষয় একটু ভাল করে’ ভেবে দেখ । উৰ্ব্ব —আমি যে এখন মদনের নিয়োগেই চলেচি—এ বিষয়ে আমার আর কি ভাববার আছে বল ? كمير চিত্র –এর পর, আমার আর উত্তর নেই। উৰ্ব্ব।—এখন তবে কোন পথ দিয়ে যেতে হবে দেখিয়ে দেও—মেন যাবার সময় পথে আবার কোন বিঘ্ন না ঘটে। চিত্র 1–সখি ! নিশ্চিস্ত হও—ভগবান দেবগুরু বৃহস্পতি অপরাজিত নামে শিখাবন্ধনী-বিদ্যা আমাদের শিখিয়েছেন—তাতে দেবদ্বেষী অসুরেরা আর আমাদের অনিষ্ট করতে পারবে না । উৰ্ব্ব –ওহে ! আমি তা ভুলে গিয়েছিলেম। ( সিদ্ধ-মার্গে আসিয়া ) চিত্র –সখি দেখ দেখ ! আমরা রাজর্ষির ভবনে এসে পড়েচি । মনে হচ্চে যেন ভবনটি এই গঙ্গা-যমুনা-সঙ্গমের পুণ্য জলে আপনার মুখ দেখছে । আহা ! এটি যেন প্রতিষ্ঠান রাজধানীর মাথার মুকুট । উৰ্ব্ব —( অবলোকন করিয়া ) কি আর বলব—আমার মনে হয় স্বর্গ যেন এখানে স্থানান্তরিত হয়েচে। সখি ! সেই বিপন্ন জনের বন্ধু না জানি এখন কোথায় ? চিত্র । —ইন্দ্রের নন্দন-বনের একাংশের মত ঐ দে প্রমদ-বনটি দেখা নাচ্চে, এসো ঐখানে নেবে সমস্ত জানা যাকৃ। ( উভয়ের অবতরণ ) চিত্র –( দেখিয়া সহৰ্ষে ) সখি ! প্রথমোদিত চন্দ্র যেমন জ্যোৎস্নার অপেক্ষায় থাকেন, তেমনি মহারাজ দেখ তোমার জন্য প্রতীক্ষা করচেন ।
পাতা:বিক্রমোর্ব্বশী (জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর).djvu/২৮
অবয়ব