88 বিক্রমোর্কশী । চিত্র –সখি! তুমি যে ওঁকে ঈর্ষার ভাবে না দেখে ওর প্রশংসা করচ, এতে তোমাকে সাবাস বলি । দেবী —মহারাজ ! তোমাকে সম্মুখে রেখে আমার কোন একটা ব্রতের অনুষ্ঠান করতে হবে । তা, একটুখানির জন্ত কষ্ট করে’ আমার এই উপরোধটি রক্ষা কর । - রাজা –সে কি কথা ? এ তো উপরোধ নয়—এ তো অনুগ্রহ । বিদু —এইরূপ স্বস্তিবাচনের উপরোধটা যেন সৰ্ব্বদাই করা হয় । রাজা –দেবি ! এ ব্রতটির নাম কি ? দেবী –(নিপুণকার প্রতি দৃষ্টিপাত ) নিছু —মহারাজ ! এ ব্রতের নাম :–“প্রিয়-প্রসাদন” । রাজা –( দেবীর প্রতি চাহিয়া ) তাই যদি হয় তবে— ব্ৰত করি’ হে কল্যাণি, মৃণাল-কোমল-গাত্রে কেন ক্লেশ দে ও অকারণ ? যে তব প্রেসাদ তরে উৎসুক রয়েছে সদা সে দাসে কিসের প্রসাদন ? উৰ্ব্ব —রাজা দেবীকে দেখচি খুব মান্ত করেন। চিত্র –সখি তুই দেখ চি ভারি হাবা–এও বুঝিমূনে ? যে সকল নাগর পরস্ত্রীতে আসক্ত, তাদের বাহিক ভদ্রতা খুব বেশি। দেবী –( সম্মিত ) তুমি যে মহারাজ এমন করে আমাকে বলচ এ আমার ব্রতেরই প্রভাব বলতে হবে। বিদু —এখন চুপ করে থাকুন। এমন ভাল কথার কোন প্রতিবাদ করবেন না । দেবী – ওলো এইখানে উপহার-গুলি নিয়ে আয়—ততক্ষণ আমি এই মণিভবনে যে চন্দ্রকিরণ পড়েচে তার অর্চনা করি । পরিজন —এই গন্ধ পুষ্পাদি উপহার ।
পাতা:বিক্রমোর্ব্বশী (জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর).djvu/৫১
অবয়ব