চতুর্থ অঙ্ক। দৃশ্ব —গন্ধমাদন পৰ্ব্বত-প্রান্তে “অকলুষ”-অরণ্য। . বিমনস্ক-ভাবে চিত্ৰলেখা ও সহজস্তার প্রবেশ । সহ -(চিত্ৰলেখাকে দেখিয়া ) সখি ! স্নান কমলিনীর মত তোমার মুখখানি শুকিয়ে গেছে, তাতে বেশ বোধ হচ্চে তোমার মনটা ভাল নেই। তা বলনা কি হয়েচে, তাহলে আমিও তোমার ব্যথার ব্যর্থী হতে পারি। চিত্র –উৰ্ব্বশীকে ছেড়ে, অঙ্গরাদের পালা-অনুসারে আজ আমাকে স্বর্য্যের চরণ-সেবা করতে হবে—তাই উৰ্ব্বশীর জন্ত আমার ভাবনা হয়েচে । সহ —তোমাদের দুজনের মধ্যে সেরূপ ভালবাস ত৷ আমি জানি । —তার পর ? চিত্র –ত, এখন সখী কি ভাবে আছেন ধান করে জালেম, তার এখন বিষম বিপদ উপস্থিত । সহ –( আবেগ-সহকারে ) কিরূপ বিপদ ? চিত্র।—মন্ত্রীর উপর সমস্ত রাজ্যভার দিয়ে, উৰ্ব্বশী প্রেমাসক্ত রাজর্ষিকে নিয়ে গন্ধমাদন-বনে বিহার করতে গেছেন । সহ –ত, এইসব স্থানই তো প্রকৃত সম্ভোগের স্থান--তার পর ? চিত্র –তার পর, মন্দাকিনী-তীরে উদয়বতী নামে একটি বিদ্যাধরবালিকা বালুক-পৰ্ব্বতের উপর খেলা করছিল, তাই রাজর্ষি তাকে চেয়ে-চেয়ে দেখছিলেন, এতেই প্রিয়সখীর রাগ হল । সহ –তা হতে পারে । উৰ্ব্বশী নাকি রাজাকে অত্যন্ত ভালবাসেন, তাই র্তার এ রকম একটুও সহ্য হয় না । তার পর—তার পর ?
পাতা:বিক্রমোর্ব্বশী (জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর).djvu/৫৮
অবয়ব