পাতা:বিচার-চন্দ্রদোয় - রামদয়াল মজুমদার.pdf/১৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

frts-bart ar Va ATA i'w ar TV ar yr ar y we ar x = 'x, ". * * * শব্দ বিষয়ে অর্থের জ্ঞান জন্মাইবার সামর্থ্যরূপ যে শব্দের সহিত অর্থের সাক্ষাৎ সম্বন্ধ তাহাই শব্দের শক্তি বৃত্তি। এবং শব্দের সহিত অর্থের পরম্পরারূপ যে সম্বন্ধ যন্দ্বারা শব্দের অতিরিক্ত অর্থ বোধ হয় তাহাই লক্ষণাবৃত্তি। তন্মধ্যে শক্তিবৃত্তি জাত যে অর্থ সেই শব্দের বাচ্য অর্থ। তাহাকে শক্য অর্থ ও মুখ্য অর্থও বলা যায়। এবং লক্ষণাবৃত্তি জাত যে অর্থ তাহাই শব্দের লক্ষ্য অর্থ। প্ৰঃ । লক্ষণাবৃত্তি কত প্ৰকার ? উঃ । জহৎ অজহৎ এবং ভাগত্যাগ ভেদে লক্ষণাবৃত্তি তিন ඡන්ඤsis|[ ] প্ৰঃ । এই তিন প্রকারের লক্ষণ ও উদাহরণ কি ? উঃ। ১ । সম্পূর্ণ বাচ্য অৰ্থত্যাগ করিয়া বাচ্য অর্থের সম্বন্ধটি গ্ৰহণ করিলে জহৎ লক্ষণ হয়। যেমন মনে করা হউক কোন পুরুষকে কেহ। জিজ্ঞাসা করিল “গোপ কোথায়” উত্তর হইল “গঙ্গাতে গোপ বাস করে” । গঙ্গাপদের বাচ্যার্থ “দেবনদীর প্রবাহ” ইহাতে গোপের বাস হইতে পারে না। যেহেতু সম্পূর্ণ বাচ্য অর্থ যে দেব নদীর প্রবাহ তাহা ত্যাগ করিয়া তৎসম্বন্ধীয় গঙ্গাতীরকে গ্ৰহণ করিতে হইতেছে, এজন্য ইহাকে জহৎলক্ষণ কহে । ২ । যেখানে বাচ্য অর্থ ত্যাগ না করিয়াও তাহার সম্বন্ধীয় অন্য অর্থ গৃহীত হয় তাহা অজহৎ লক্ষণ । যেমন কেহ বলিল, “কাকে যেন দধি খায় না,” এখানে কাকের বাচ্য অর্থ যে কাক পক্ষী ইহা ত্যাগ না। করিয়া কুকুর বিড়াল হইতেও দধি রক্ষা করিতে হইবে এই অধিক অর্থ গ্ৰহণ করিতে হইবে । ৩ । যেখানে কোন বিরোধী কোন বাচ্য ভাগ ত্যাগ করিয়া