পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sbr'e কোন বিশেষ পরিবর্তন ঘটেচে, যা সন্ত্রমের খাতিরেই সে DDSDS BBBLBL KLLS DDS S DDS SBED DDS হি হি করে হেসে এমন সব কথা বলাবলি করতে লাগলো DD DK KBDBSDBBB sKK DDD S তাদের একটা ধমক দিয়েই আমি গঙ্গারামকে বললুম— ‘আর টোটা নেই ? গঙ্গারাম চকিতের মধ্যেই নিজেকে সংযত করে নিয়ে বল্লে,-“আছে আর দুটো, পরিয়ে দিচ্চিা।” এবার গাদা বন্দুক নিয়ে আমি হন হন করে বিলের দিকে চললুম।— ঠিক বিলের কােছ বরাবর গিয়েছি। এমন সময় গঙ্গারাম আমার কানের কাছে মুখ নিয়ে চাপা ফিন্স ফিস স্বরে বললে –‘দাড়াও দাদা, একটা ঘড়িয়া ।” ঘড়িয়া হয়ত কোন হিংস্ৰ জন্তু হবে এই মনে করে। ਜਿ বিবৰ্ণ মুখে জিজ্ঞাসা করলুম—“ঘড়িয়া কি রে?” — “ঘড়িয়া জানি না ? নৱােল, সয়াল, দীঘেড়ি, কালকুচ, মাণিকজোড় ঘড়িয়া এই সবই ত বিলে পাখী। ঐ (府, 히 TT G5 하l 5 히, তারই মধ্যে—দেখতে পাচ্চো ?” খুব নজর করে দেখতে পেলুম বাট একটা ছোট্ট হ্রাস জাতীয় পাখী । চাব পাশের কহিলার ফুলের মধ্যে তার ছোট দেহটি মানিয়েছিল বেশ । আমি বসে পড়ে বন্দুক উঁচু করতেই গঙ্গারাম অনুনয়ের সুরে বললে, “দাদা, এবার না হয় আমাকে দাও, ও খুব ভালো পাখী।” তার কথার ভিতরকার প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিতটা আমার কর্ণমূলকে লাল করে দিলে। আমি কোন কথা না বলে বন্দুকের নিশানে মনঃসংযোগ করলুম। গঙ্গারাম ও চাষার ছেলেরা প্ৰায় মাটির সঙ্গে মিশে শুয়ে পড়লো । বন্দুকের ডগা হতে একটা ধোঁয়ার রেখা জলের ভিতরকার শরবনের মধ্যে চলে গেল। কিন্তু ঘড়িয়া আর নেই। একটা দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে গঙ্গারাম বললে-“পালিয়েছে।” ‘কোথা দিয়ে পালালো ? দেখলুম না তো। গুলি থেয়ে ডুবে গিয়েছে নিশ্চয়।” “না দাদা, ডোবে কখনো ? ওরা ইসের চেয়েও হাল্কা ।” <6> [ মাঘ এ কথায় কি আমার সন্দেহ মেটে ? আমি লক্ষ্য স্থানে গিয়ে পুলিসের খানাতল্লাসীর চেয়েও বেশী করে জল-তল্লাস করালুম। কিন্তু সে ফেরার পাখীর সন্ধান মিললো না। একটা অত্যন্ত অস্বাভাবিক গাম্ভীৰ্য্য নিয়ে আমি বাড়ী ফিরতে লাগলুম। আমার বেশ বিশ্বাস, তখন যদি স্বয়ং বিধাতা পুরুষ ও সামনে এসে বলতেন ‘বর নে’, আমি পাশ कांप्रिंश बन्ङ्भ--‘गान्-शान्।' মাঠ পার হয়ে, খিড়কার ডোবার ‘পাউড়ি'তে পা দিয়েই মনে হলো যে বন্দুকে আর একটা টােটা আছে। সেটা আর রাখি কেন ? যা হোক কিছু লক্ষ্য করে ছুড়ে ফেলি। এই যাহোক কিছুর উদ্দেশে ইতস্তােত চাইতেই দেখি পালেদের বাড়ীর লাগােয়া বাশপাড়টার উপর দুটাে ঘুঘু, বসে আছে। আন্দাজে মনে হল তারা শ'খানেক হাত দূরে। তাদের দিকেই ছুড়ি । লাগবে 'ত না জানা কথা। লািগব।ার হলে আর কুড়ি পাঁচশ হাত দূরের পাখী পালায় ? বিশেষ কোনই তাগ না করে দিলুম বন্দুক ছেড়ে । গঙ্গারাম চেচিয়ে উঠলে,-“পড়েচে, দাদা পড়েচে ।” একটা চাষার ছেলে হাততালি দিয়ে নিচে উঠে বললে, -“কত্তাবিব যে এবার ত্যাগ নিলো না, নৈলে দুডোই পড়তো।” গঙ্গারাম দৌড়ে গিয়ে আমার শিকার করা পার্থটিকে যখন নিয়ে এসে আমার সামনে ধরলে, তখন দেখলুম তার কাঁচি বুকখানি শতধা বিদীর্ণ হয়ে গেছে।--ঢোখের উপর সাদা পারদ। টান;—লট কানো গলাটির প'শ বেয়ে টাটক রক্ত ঠোঁটের ডগা দিয়ে ক’রে পড়াচে । গঙ্গারাম উৎফুল্লম্বরে বললে-“দাদার হাত কখনো নিৰ্ম্মফলা যায় ? এর মাংস ও বড় মন্দ নয়।” আমি তাড়াতাড়ি তার হাতে বন্দুকটা দিয়ে খিড়কীর দরজার দিকে অগ্রসর হলুম। “ওদিক দিয়ে কেন দাদা ? বৈঠকখানার সামনে দিয়ে চলে । সকলকে দেখিয়ে যাই-”গঙ্গারামের এই সোৎসাহ বাক্যের উত্তরে আমি যখন কেবল “না, নাঃ’ বলে খিড়কীর দরজা দিয়েই বাড়ীর মধ্যে ঢুকে পড়লুম, তখন সে অকথ্য বিস্ময়ে কিছুক্ষণ আমার গতিপথের দিকে চেয়ে রইলো।