পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

est পল্লিপ্ৰকৃতি V9e) चैत्रंदैौकानांथ ठांकूब्र খাই তাতে আছে পেট-ভরানো, পাঁচজনে মিলে যে-অল্প খাই তাতে আছে আত্মীয়তা । এই আত্মীয়তার যজ্ঞক্ষেত্রে অল্পের খালি হয় সুন্দর, পরিবেষন হয় সুশোভন, পরিবেশ হয়। সুপরিচ্ছন্ন । দৈন্তে মানুষের দাক্ষিণ্য সঙ্কুচিত করে, অথচ দাক্ষিণোই সমাজের প্রতিষ্ঠা । তাই ধরণীর অন্নভাণ্ডারের প্রাঙ্গণেই বাধা হয়েচে মানুষের গ্ৰাম । মানুষের মধ্যে যা অমৃত তার প্ৰকাশ হোলো এই মিলন থেকে--তার ধৰ্ম্মনীতি, সাহিতা, সঙ্গীত, শিল্পকলা, তার বিচিত্র আয়োজন-পূর্ণ অনুষ্ঠান । এই মিলন থেকে মানুষ গভীর-ভাবে আত্ম পরিচয় পেলে, আপন পরিপূর্ণতার রূপ তার কাছে দেখা द्धि । গ্রামের সঙ্গে সঙ্গে নগরেরও উদ্ভব। সেখানে রাষ্ট্রশাসনের শক্তি পুঞ্জীভূত, সেখানে সৈনিকের দুর্গ, বণিকের পণ্যশালা, বিদ্যাদান ও বিদ্যা অর্জনের উদ্দেশে, বহু স্থান থেকে একস্থানে শিক্ষক ও ছাত্রের সমাবেশ, দূর পৃথিবীর সঙ্গে জানা-শোনা দেনা-পাওনায় যোগ। সেখানে মাটির বুকের পরে জগদ্দল পাথর, জীবিকা সেখানে কঠিন, শক্তির সঙ্গে শক্তির প্রতিযোগিতা । সেখানে সকাল-মানুষকে হার DDD sBBDSDD BBLD LLDL LLLDD S DDD D হ’লে তারো ফল মন্দ নয় । ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য যদি অতিশয় চাপা পড়ে তাহ’লে ব্যক্তিগত শক্তির উৎকর্ষ ঘটে না । সমান-মাথাওয়াল ঝোপগুলোর চাপে বনস্পতি বেঁটে হ’য়ে থাকে । ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের অত্যাকাজক্ষা অগ্নিবাম্পের ঠেলায় জনসভেম্বর সাধারণ আশ্রয়ভূমিকে উচুর দিকে উৎক্ষিপ্ত করে, উৎকর্ষের আদর্শ বেড়ে ওঠে, ‘পরম্পরের নকলে ও রেশারোশিতে মানুষের শক্তির চর্চা অত্যন্ত সচেষ্ট হ’য়ে থাকে, YBDDSLD DBBBBS BBB SBDBBDDD DDBBB SDDDS DD দেশের নানা জাতির চিত্ত সমবায়ে বিদ্যার আয়তন প্রশস্ত হ’য়ে ওঠে। সহরে, যেখানে সমাজের চাপ অতিঘনিষ্ঠ নয়, সেখানে ব্যক্তি-স্বাতন্ত্র্য সুযোগ পায়, মানস-শক্তি একটা সাধারণ আদর্শের অনুচ্চ সমতলতা ছাড়িয়ে উঠতে থাকে। এই কারণেই বুদ্ধির জড়তা ও সঙ্কীর্ণতা সকল দেশেই সকল কাৱেই গ্ৰাম্যতার নামান্তর হয়ে আছে। সহরে মানুষ আপন কৰ্ম্মোদ্যমকে কেন্দ্রীভূত করে ; তার প্রয়োজন আছে । আমাদের দেহে প্ৰাণশক্তি যেমন একদিকে ব্যাপ্ত, তেমনি আবার এক এক জায়গায় তা বিশেষ ও বিচিত্ৰভাবে সংহত । নিম্ন শ্রেণীর জীবদেহে এই মৰ্ম্মস্থানগুলি সংহত হয়ে ওঠেনি। দেহ-বিকাশের উৎকর্ষের সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্ক, ফুসফুস, হৃৎপিণ্ড, পাকযন্ত্র বিশেষ বিশেষ দেহক্রিয়ার স্বতন্ত্র যন্ত্র হয়ে উঠল। এইগুলিকে সহরের সঙ্গে তুলনা করা যায়। সহরগুলি লোকালয়ের বিশেষ বিশেষ প্রয়োজনসাধনের কেন্দ্ৰ, মানুষের উদ্যম এক এক স্থানে বিশেষ লক্ষ্য নিয়ে সংহত হয়ে তাদের সৃষ্টি করেচে। পূৰ্ব্বকালে ধনস্যষ্টি প্রভৃতির প্রয়োজন-সাধনে যন্ত্রের হাত ছিল অতি সামান্যই। তখনকার যন্ত্রগুলির সঙ্গে মানুষের শরীর মনের যোগ সৰ্ব্বক্ষণ অব্যবহিত ছিল। সেইজন্যে তার থেকে যা উৎপন্ন হতে পারতো তা ছিল পরিমিত, আর তার মুনাফা বিকট প্ৰকাণ্ড ছিল না। সুতরাং তখন পণ্যরচনায় কৰ্ম্মশক্তির আনন্দটা ছিল প্ৰধান, কৰ্ম্মফলের লোভটা তার চেয়ে খুব বড়ো হয়ে ওঠেনি। তাই তখনকার নগরগুলি মানুষের কীৰ্ত্তির ट्षांन्द्रीं jट्र कद्र,ड, श्रद्धष्ठ । 藏 অন্যান্য সকল রিপুর মতোই লোভটা সমাজবিরোধী প্ৰবৃত্তি। এই জন্যেই মানুষ তাকে রিপু বলেচে । বাইরে থেকে ডাকাত যেমন লোকালয়ের রিপু, ভিতর থেকে লোভটা তেমনি । যতক্ষণ এই রিপু পরিমিত থাকে ততক্ষণ এতে ক’রে ব্যক্তিম্বাতন্ত্র্যের কৰ্ম্মোন্তিম বাড়িয়ে তোলে, অথচ সমাজনীতিকে সেটা ছাপিয়ে যায় না । কিন্তু লোভের কারণটা যদি অত্যন্ত প্রবল ও তার চরিতার্থতার উপায় অত্যন্ত বিপুল শক্তিশালী হয়ে ওঠে, তবে সমাজনীতি আর তাকে সহজে ঠেকিয়ে রাখতে পারে না। আধুনিককালে যন্ত্রের সহযোগে কৰ্ম্মের শক্তি যেমন বহুগুণিত, তেমনি তার লাভ বহু অঙ্কের, আর সেই সঙ্গে সঙ্গে তার লোভ। এতে ক’রেই ব্যক্তিস্বার্থের সঙ্গে সমাজ-স্বার্থের সামঞ্জস্য টলমল ক’রে উঠচে। দেখতে দেখতে চারিদিকে কেবল লড়াই ব্যাপ্ত হয়ে চলেচে । এই রকম অবস্থায় গ্রামের সঙ্গে