পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Şෙෂs ] ምiር�-‹ውiቑኮÇቫ @や শ্ৰীঅন্নদাশঙ্কর রায় কিম্বা বাড়ীতে অল্প সংখ্যক লোকেয়ী রান্নায় যত খরচ রেস্তুরায় বহুসংখ্যক লোকের রায়ায় সে অনুপাতে কম। কথা উঠবে। তবে বাড়ীর মেয়েরা করে কি ? তার জবাব এই যে বাড়ীর মেয়েরাও আপিস করে। সকলে নয়। অবশ্য কিন্তু অনেকে। তরুণী মাত্রেই স্কুল কলেজে যায়, বয়স্ক মাত্রেরই কোনো না কোনো কাজ আছে। মায়েরাও ছেলেদের ইস্কুলে দিয়ে কাজে যায়, তবে কোলের ছেলে হ’লে তার গাড়ী ঠেলে মাঠে নিয়ে যায়, খোকা যতক্ষণ হাওয়া খায়, অন্ততঃ কীডিং বটল চুষে দুধ খায়, খোকার মা ততক্ষণ জামা সেলাই করে। কাজ করে না, বসে খায়, এমন লোক তো দেখছিনে ; যার আর কিছু না জোটে সে একটা সভাসমিতি খুলে বসে, সে সব সভাসমিতির উদ্দেশ্যও বিচিত্র, কোনোটার উদ্দেশ্য জবাই করবার অনিষ্ঠর উপায় উদ্ভাবন, কোনোটার উদ্দেশ্য সদস্যদের মৃতদেহ কবরস্থ না ক’রে অগ্নিসাৎ করা । ভালো মন্দ দরকারী অদরকারী কত রকমের অনুষ্ঠান যে এদেশে আছে তার আভাস পাওয়া যায় রবিবারের দিন হাইড পার্কের বেড়ার ভিতর প্রবেশ করলে। একখানা ক’রে চেয়ার জোগাড় ক’রে তার ওপরে দাড়িয়ে হাত পা নেড়ে কত বক্তাই যে ভূমিতে দণ্ডায়মান বা সন্মুখ দিয়ে চলন্ত শ্ৰোতৃমণ্ডলীকে সম্বোধন ক’রে কত তত্বই প্রচার করেন তার সংখ্যা হয় না ; এদেশে ধৰ্ম্মের হাজারো সম্প্রদায় আছে, রাজনীতির হাজারো দল আছে, বক্তৃতা দেওয়া কাজটাও কঠিন নয়, আর লোকের ভীড়ের ভিতরে এমন দশপাঁচিশ জন অখণ্ড ধৈৰ্য্যশীল সহিষ্ণু শ্রোতা বা শ্রোত্রী কি zLBDB DBD D DD DBDBD BB DSDDDBBD গলাবাজি দেখবে বা নাম সংকীৰ্ত্তন শুনবে ? এমনি ক’রেই এদেশে পারিক ও পিনিয়ন স্থষ্ট হয়। শ্রোতারা তর্ক করে, টিটকারী দেয়, এক বক্তার লোক ভাঙিয়ে নিয়ে আরেক বক্তা উণ্টে বক্তৃতা শোনায়, তবু সে বক্তার মেজাজ তরুর চেয়ে সহিষ্ণু সংকল্প মেরুর মতো অটল, ५७ ,ि cवांछा ना ब्रम्र छबू उंब्र बांदृकश्र्द्र cकांब्रांब्रा 'ফুরোবে না। হাতে কোনো একটা কাজ না থাকুলে যেন এরা ধাঁচতে পারে না, জীবন কঁকা ঠেকে। চুপী ক’রে ব’সে থাকা এদের ধাতে সয় না, তাই ছুটি পেলে এরা বড় বিত্ৰত হ’য়ে ভাবে ছুটী কেমন ক’রে কাটাবে। ভিক্ষা করা এদেশে আইনবিরুদ্ধ, কালে কঠিন সাজা। তাই ভিক্ষুকেরাও কোনো একটা কাজ করুবার ভাণ ক’রে পয়সা রোজগার করে, হয় দু’পয়সার দেশলাই চারপয়সায় বেচে অর্থাৎ বেচবার ভাণ ক’রে হাত পাতে, নয় ফুটপাথের ওপরে ছবি একে পথিকদের সামনে টুপী খোলে, ” নয় কিছু একটা বাজিয়ে বা গেয়ে দাতাকে খুন্সী করে, কিন্তু মুখ ফুটে বলে না যে, "ভিক্ষা দাও ;” বলেই পুলিশে ধ’রে নিয়ে যায়। এত কথা এ প্রসঙ্গে বলবার উদ্দেশ্য এরা কাজ জিনিষটাকে কি চক্ষে দেখে তাই বোঝানো। নিক্রিয়তাকে এদেশে ধৰ্ম্ম বলে না । জামাকাপড়ের দোকানের এত বাহুল্য কেন ? - একটা কারণ, শীতের দেশের মানুষ কম্বল সম্বল ক’রে ধুনি জালিয়ে নিক্রিয়ভাবে পরীকালের ধ্যান করলে পরকালের দিন ঘনিয়ে আসে, দেহ সম্বন্ধে নির্বিকল্প হ’লে দেহীমাত্রেই বরফ হ’য়ে যায়, তাই পথের ভিখারীরও গায় ওভার কোট ও পায় বুটজুতো চাই। মেয়েরা স্কাটুর্থ কুস্ব ক’রে ও গলা খোলা রেখে পরিধেয় সংক্ষেপ করেছে বটে, তবু ওদের পরিধেয় শুধু একখানা শাড়ীর মতো সরল নয়। আর একটা কারণ, আংটি বা হার বা দ্বল ছাড়া অন্য অলঙ্কার বড় কেউ পরে না, তাই ভূষণের রিক্ততার ক্ষতি পূরণ করতে হয় বসনের বাহারে। একটু আগে বলেছি। এদের নগর স্থাপত্যে বিউটীর চেয়ে ‘বড় কথা ইউটিলিটী। এদের বেশভূষা সম্বন্ধেও ওকথা সমান খাটে। মেয়েরাও এখন কাজের লোক হয়েছে, গজেন্দ্রগমনে চললে ট্রেন ফেল ক’রে আপিস কামাই ক’রে বসবে, সেই আশঙ্কায় পক্ষিরাজের মতো মাটী ছয়ে ওড়ে, ছুটে ছুটে হাঁপাতে হাঁপাতে ট্রেনের ওপরে লাফ দিয়ে ওঠে, জায়গা পেলে বসে, না পেলে দাড়ায়, এক সেকেণ্ড, সময় নষ্ট না ক’রে খবরের কাগজ কিম্বা গল্পের বই বার ক’রে পড়তে আরম্ভ ক’রে দেয়। দুটোছুটির সুবিধার জন্যে স্কার্টের ঝুল হাঁটুর ওপরে উঠে কোমর অভিমুখে অগ্রসর হচ্ছে। দাম আটকাবার ‘ভয়ে গলার ফাঁস খুলতে খুলতে আবক্ষ বিস্তৃত হচ্ছে, স্নান-প্ৰসাধন সুকর হৰে ব’লে মাথার