পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ প্রথম খণ্ড).pdf/২০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SOD8 মনের দুটি ভাষা brసి শ্ৰীধূর্জটিপ্ৰসাদ মুখোপাধ্যায় একই বাক্যে যদি একটি কথার দুই বার প্রয়োগ পাকে তাহলে সাধারণতঃ দেখা যায় যে, দ্বিতীয় প্রয়োগের অর্থ, আমাদের অলক্ষ্যে, প্রথম প্রয়োগের অর্থ হতে ভিন্ন হয়ে গিয়েছে। এই যেমন “কারণ” কথাটি। গ্রামোফোনে সুরের “কারণ' রেকর্ডে সুচ লাগান, যুদ্ধের “কারণ” মানুষের মধ্যে জাত্যাভিমান এবং ভেদজ্ঞান, সৃষ্টির ‘কারণ” ভগবানের লীলা-এই তিনটি বাক্যে “কারণ” কথাটি তিনটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। প্ৰথম কারণ কাৰ্য্যের মুখটি উন্ধে দিয়েই ক্ষান্ত, এখানে কাৰ্য্য-কারণের সম্বন্ধটি অতি ক্ষীণ ; দ্বিতীয় কারণ কাৰ্য্যের background হিসাবে সত্য, এখানে কাৰ্য্য-কারণ সম্বন্ধটি যোদ্ধার মনে যুদ্ধের সময় সত্য নয় ; এবং তৃতীয় কারণটি তর্কবুদ্ধির নিস্ফলতা এবং পরাজয়ের চিহ্ন বোলেই গণ্য হচ্ছে । সেইজন্যই অন্ততঃ শেষের দুটি বাক্য নিয়ে অত বাজে তর্ক এবং বই লেখা হয়েছে। অতএব প্ৰথমেই কোন কথা কি ভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে তাই বুঝতে হবে। আজকালকার মনোবিজ্ঞানে বোলছে যে, মন নিজে হতে জ্ঞান সঞ্চয় করে image অর্থাৎ প্ৰতিবিম্বের সাহায্যে । যদি কোন দ্বন্দ্ব, সন্দেহ, কি পুরাতন ভাবনা ও অনুভূতি মনে ওঠে, জ্ঞানতই হোক আর অজ্ঞানতই হোক, তখন একটা প্ৰতিবিম্ব তৈরী হয়। এতদিন ধারণা ছিল যে প্ৰতিবিম্ব মাত্র দুই প্রকারের-বন্তগত ( concrete ) এবং কথাগত ( verbal)। এর মধ্যে কোনটি কানের, কোনটি চোখের, কোনটি ত্বকের, অর্থাৎ ইন্দ্ৰিয়ের ভিতর দিয়ে মনে ওঠে। সেইজন্য অনেকে ভাবতেন যে, প্ৰতিচ্ছবি যার কাণের ভিতর দিয়া মরমে পাশে, সেই সুরজ্ঞ হবে এবং যার” চোখের সাহায্যে বেশী ওঠে। সেই চিত্রকর হবে ; অবশ্য শিক্ষা-দীক্ষার পর। কিন্তু এখন পরীক্ষার স্বারা স্থিরীকৃত হয়েছে যে, মনের কোন শক্তি • কিম্বা বিশিষ্ট ভাবধারার সঙ্গে এইরূপ image-typesএর কোন অন্তরঙ্গ সম্বন্ধ নেই। তাই যদি হয়, তা’হলে আমাদের জানতে হবে যে এমন কোন মানসিক কাৰ্য্য DD DDD DBD DS DD DDBB BD YY BD আর না থাকুক, অন্ততঃ যার কথাগত ও বস্তুগত প্ৰতি বিম্ব মনের মধ্যে ভেসে ওঠে না। যদি সম্ভব হয় छा'इटण ८नशे ०यठिदिक्ष-विशैन खिड़ाब्र eयंङ्कलि बूटङ হবে। আমার বিশ্বাস এই যে কথাগত, বস্তুগত এবং প্ৰতিবিম্ববিহীন চিন্তার পরস্পর সম্বন্ধ এবং তাদের সঙ্গে BDDDB DBD DDD BBDBD DDBBDBDS DBBS SLSS শ্ৰেয়তর, শ্রেষ্ঠ, উন্নতি এবং অবনতি কথাগুলির ভাবার্থ ও উদ্দেশ্য পরিষ্কার হবে ; অর্থাৎ কোনটি সুর, কোনটা श्न नम्र, cक कांश 65ाम बद्ध कवि क्शिा अर्षिकडन বুদ্ধিমান খানিকটা বুঝতে পারব। এক কথায় শ্রেয় ও শ্ৰেয়তর বুঝতে হলো “তরু” প্রত্যাটির মানে শ্ৰেয় কথাটির আগেই বোঝা চাই । যদি কোন ছেলেকে প্রশ্ন করা যায়, “কথাগুলির যে রকম উন্টে জবাব বোলে দিচ্ছি। সেই রকম অন্য কথার উণ্টে জবাব দাও-সুখ-দুঃখ, ঘুণা-প্ৰেম, আকাশ -” তখন দেখা যায় বেশীর ভাগ সময় ऐद्ध झtष्ट्र “পাতাল”। এই প্ৰকার বিপরীত-বোধের পিছনে কোন दख-गखा नरे । स्त्रांबांव्र ग्रथन 'कूव्र' कथा)ि ऊनि क्षिा উচ্চারণ করি তখন কেলো, ভুলো কিম্বা জ্যাকীকে মনে না কোরেও কুকুরত্বের একটি সাধারণ অর্থ জেগে ওঠেচার পা, ঘেউ ঘেউ করছে, মাংস খাচ্ছে, তেড়ে আসছে, চুটি পালাচ্ছি ধরণের। এখন পরীক্ষা কোরে দেখা গিয়েছে যে কুকুর কথাটি না মনে করেও, কিম্বা কুকুরের ছবি না। স্মরণ করেও,-যেমন স্বপ্নে এমন কি দিবাস্বপ্নেও,- কুকুরের প্রকৃতি এবং অর্থ মনের মধ্যে ভেসে উঠতে পারে। এই প্রকারের অনুভূতি হয় তুলনামূলক বাক্যেযেমন “ত্যাগ ভোগের অপেক্ষা বড় জিনিষ? কিম্বা “যন্ত্ৰসঙ্গীত কণ্ঠ-সঙ্গীত অপেক্ষা শুদ্ধ'। যখন কুতব-মিনার দেখেই তাকে অক্টারলনী মনুমেন্টের চেয়ে বড় বলি তখন অবশ্য মনের মধ্যে শেষটির ছবি এবং তার একটি আন্দাজি মাপ থাকতে বাধ্য। কিন্তু ত্যাগের কিম্বা সুরের তুলনামূলক বিচারে এই প্রকার সংখ্যামূলক মাপকাঠি থাকে না। এ ক্ষেত্রে আপেক্ষিকতার মানে নিজেরা খানিকটা বুঝতে পারলেও সে মানে ভাষার সাহায্যে নিজের কাছে পরিস্ফুট এবং অন্তের কাছে বোধগম্য করবার শক্তি