পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ প্রথম খণ্ড).pdf/৫৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কজরী শ্ৰীঅনাথিনাথ বসু একটী অনাদৃত মৃতপ্রায় ব্ৰন্তোৎসবের কাহিনী বলিতেছি। এককালে এই ব্ৰতটী সমগ্ৰ উত্তর ও মধ্যভারতের গৃহে গৃহে অনুষ্ঠিত হইয়া বহু নরনারীর উৎসব-লিঙ্কস মিটাইত। এখনও মৃজাপুর ও কাশী অঞ্চলে এবং মধ্যভারতে কোথাও কোথাও ইহার অনুষ্ঠান আছে বটে। কিন্তু ইহার মধ্যে সে প্ৰাণ আর নাই; এই উৎসব আজ আর জনসাধারণের চিওঁকে উম্বেলিত করিয়া তুলিতে পারে না। আমরা আজ সভ্য হইয়াছি। মানুষের উৎসবগুলি যে পরিমাণে তাহার ধৰ্ম্মবোধের পরিচয় দেয়, বোধ করি সেই পরিমাণেই তাহার অন্তরের সৌন্দৰ্য-বোধেরও সুচনা করে। ভক্ত তাহার দেবতাকে মন্ত্রদ্ধারা পুজা করিয়াই ক্ষান্ত হয় না ; সে পুষ্প, অর্ঘ্য, সঙ্গীত ইত্যাদি নানা সৌন্দৰ্য্যসম্ভার দিয়া তাহার প্রিয়কে ঘিরিয়া ফেলে, তাহার রুচি শিক্ষা দীক্ষা ও সৌন্দৰ্য্য-বোধের অনুপাতে নানা সুন্দর বন্ত দিয়া দেবতার পূজা-উপচার রচনা করে। সুতরাং প্রতি ব্ৰত, প্ৰতি উৎসবের দুইটী দিক আছে, একটা ধৰ্ম্মবোধের বা আধ্যাত্মিক, অপরটা Grécits ti aesthetic ইহাই পুজার তত্ত্বকথা। মানুষের সভ্যতার ও মানসিক উন্নতির ইতিহাস রচনায় এই জন্যই এই ব্ৰন্তোৎসবগুলির আলোচনার প্ৰয়োজন রহিয়াছে। এগুলির মধ্যে এক দিক দিয়া cवशन आषि प्नब्र ब्रिष्न् ब्रश्त्रिांत्रिंबांप्छ cख्यानेि अडरिक দিয়া সেই মনেরই ক্রমবিকাশের ইতিহাসের ধারা যুগের পর যুগ। তাহার পদচিহ্ন রাখিয়া গিয়াছে। সৃষ্টির প্রথম যুগে মানুষ ৰে মনোভাব লইয়া দেবতার পুজা আরম্ভ করিয়াছিল। সভ্যতার পরিণতির সঙ্গে সঙ্গে সে মনোভাব ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হইতেছিল ; আদিমকালের পূজার আয়োজন যুগের পর যুগ ধরিয়া নব নৰ সভারে, নব নব ঐশ্বৰ্য্যসঞ্চয়ে সেগুলি যে অপরূপ রূপ ধারণ করিতেছিল তাহা সৌন্দৰ্য্যপিপাসুর চিত্তকে তৃপ্তি দিবার . অধিকারে এবং গৌরবে পরিপূর্ণই হইয়া উঠিতেছিল। . / কিন্তু আমরা এই উৎসবগুলিকে আজ আমাদের গৃহ হইতে নিৰ্বাসিত করিয়াছি। আমাদের যুক্তি’-এই গুলির মধ্যে একটা অত্যন্ত স্থলভাবের ধৰ্ম্মবোধের পরিচয় আছে যাহা আমাদের অন্তরের সুন্ম ধৰ্ম্মবোধকে পীড়া দেয়। একথা হয়ত” সত্য, কিন্তু এই ব্ৰতগুলিকে বিরিয়া ৰে সৌন্দর্ঘ্যের সৃষ্টি হইয়াছিল। সেই সৌন্দর্ঘ্যের আয়োজনকে BDDDBB DBDSDDBB sDDB DDD DDDDS BB কোন প্রয়োজন ছিল কি ? . কোন আদিম যুগে নরনারীর সম্ভোগ-লিন্সার অত্যন্ত कूण अक्षौ त्रूद्धकाणी बगाडां९गप्वव्र भाषा थकॉर्निऊ इरेॉझ्णि বলিয়াই কি বসন্তোৎসবের মৃত্যমালা, গীতনৈবেদ্য, পুপসম্ভারকে আমাদের গৃহবার হইতে বিদায় করিয়া দিতে হইবে ? এইগুলির মধ্যে যে স্বতঃ-উৎসারিত সৌন্মৰ্য্যানুভূতি বিকশিত হইয়া উঠিয়াছিল তাহার কি কোন মূল্যই নাই? সৃষ্টি ও জন্ম রহস্য চিরদিনই মানুষের বিস্ময়ের বন্ত হইয়া আছে। যে অদৃশ্য শক্তির বলে বিশ্বজগতে ধ্বংস ও সৃষ্টির লীলা চলিতেছে তাহার নিকট মানুষ চিরদিনই মাথা নত করিয়াছে এবং তাহাকে পূজা করিয়াছে; এই শক্তির প্রসাদকামনায় বহু বলি, অর্ঘ্য, নৈবেম্ভও সে দিয়াছে। আমাদের মধ্যে বহু ব্ৰত-উৎসবের জন্মকথা এই শক্তির প্ৰসাদ লাভ চেষ্টার অন্তরালে লুকায়িত আছে। যে ওষধি আমাদের অন্ন জোগাইতেছে, আমাদের দেহ পুষ্ট করিতেছে, কোন শক্তির বলে তাহার প্রাণসঞ্চার হয়, তাহা মানুষ আবিষ্কার করিতে পারে নাই বলিয়াই একদিন সে ওষধিবনস্পতির মধ্যে দেবশক্তির আরোপ করিয়াহে ; যে ভূমি সমারোহে সমৃদ্ধ হইয়া উঠিতেছিল এবং দীর্ঘকালের তাহাকে ধারণ করিয়াছে তাহাকে মাতারূপে কল্পনা KON)