পাতা:বিচিত্রা (প্রথম বর্ষ প্রথম খণ্ড).pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

<69> [ আষাঢ় গবেষণা করেছেন, তারা এর ভিন্ন ভিন্ন রকমের ব্যাখ্যা উদ্রেক ক’রেছিল। এ আলোচনার মধ্যে তাকে টেনে করেন। যেমন, লুদোভিচির মতে সমীর কথাটা সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক-আমাদের আলোচনার গঞ্জীর বাইরে । তাই কথাটা শেষ হবার আগেই তাকে জানিয়ে দেওয়া হ’ল যে লুদোভিচির মতামত শোনবার জন্যে আমরা এতটুকুও আগ্ৰহাৰ্মিত নই এবং এ বিষয়ে সমীর মতো অবিবাহিত লোকের মতামত প্ৰকাশ আমরা খৃষ্টত ’ব’লেই মনে করি। বলা বাহুল্য, আমাদের মধ্যে সামাই ছিল একমাত্র অবিবাহিত । কিছু মাত্র অপ্ৰস্তুত না হ’য়ে সম্পূৰ্ণ উদাসীনভাবে সমী তার চুরোটিকায় মনোনিবেশ ক’রলে। নরেশ তার স্বভাবসিদ্ধ শাস্তু স্বরে তখন ব’ললে-“দেখ, ও-রকম অবস্থাটা যে নিছক কবি কল্পনা, তা’ নয়। আমাদের সমাজের এই দ্রুত-পরিবর্তমান যুগে ওরকম ঘটনা অনেক ঘটে যার সবগুলোই ইতিহাসে ওঠে না । যত বিরল মনে

    • , OS 4

সে বিষয়ে আমাদের মতদ্বৈধ ছিল না। নরেশ ব’লে যেতে লাগল - আর ও এরকম অবস্থায় পড়লে কে কিরূপ ব্যবহার করবে, ত’ কেউ —এমন কি অতি সাবধানী স্বামীও-আগে থাকতে ভেবে নিতে পারে না । কতকটা তার স্বভাব-চরিত্র, শিক্ষা-দীক্ষার উপর নির্ভর করে সত্য, কিন্তু সবটা নয়। এর ভিতর এমন কতকগুলো ফ্যাকুড়া আছে যাদের সঙ্গে একমাত্ৰ কাৰ্যা-ক্ষেত্রেই বোঝাপড়া হতে পারে। নিজের ব্যবহারে নিজেই অনেক সময় আশ্চৰ্য্য হ’য়ে যেতে হয় । আমি জানি – কেননা आनि निष्य छूखगडॉी। ঠিক এ রকমটার জন্যে প্ৰস্তুত ছিলুম না। তাই নরেশের কথা আমাদের সকলকেই কতকটা আশ্চৰ্য্য ক’রে দিলে । চৈত্র-সন্ধ্যায় ঘনিয়ে আসা অন্ধকারে আমরা পরম্পরের মুখ চাওয়া চাওয়ি করতে লাগলুম। নরোশের স্ত্ৰী লীনাকে যে আমরা সকলেই চিনি । আমাদের পাড়ায় নবাগত হ’লেও লীনা ইতিমধ্যেই তার সৌজন্যে ও আতিথেয়তায় আমাদের সকলেরই মনে শ্ৰদ্ধার VEN--- नद्म* स्त्रांभांप्रब्र मानांऊांव बूक्ष्ड् cश्रद्ध 'ण ऍणकि ७ बकभी नम्र अब्र अडl७ नव। अश्रुड: दांशों যে ট্র্যাজেডিতে পরিণত হয়নি, এটাতো স্বীকার করা ? সেটা অস্বীকার করবার জো নেই। নরেশেয়া-পুত্ৰকন্যা-পরিবেষ্টিত নিবিড় সুখের সংসারটা আমাদের অনেকেরই আদর্শ ছিল। আজ রাত্ৰেতো সেখানেই আমাদের খাবার নিমন্থণ আছে ৷ নরেশ আরও বললে – ব্যাপারটাতে ট্র্যাজেডির উপাদান বিশেষ কিছু ছিল না। তবুও সমস্যা জিনিষটার যতক্ষণ না সমাধান হয় ততক্ষণ সেটা সমস্যাই থেকে যায় এবং যে-কোেনও মুহুৰ্ত্তে সেটা ট্র্যাজেডিতে পরিণত হতে পারে। কিন্তু আগাগোড়া না শুনলে তোমরা সব বুঝতে পারবে না। চৈত্র সন্ধ্যা ইতিমধ্যে রাত্রে পরিণত হ’য়েছিল । আকাশে চাদ ছিল না, কিন্তু বাতাসে মাদকতা ছিল। সমী-র চিরপরিচিত ছাদের উপর কতকগুলো চীনেবেতের আরাম কেন্দ্বারায় শুয়ে আমরা নরেশের গল্প শোনবার জন্যে প্ৰস্তুত হলুম। টিপয়ে ዝቑ, ছাইদানি, চুরোটিকাধার এবং হুইস্কির ক্রমশূন্যায়মান ডিক্যাণ্টার অন্ধকারের মধ্যে মাঝে মাঝে আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করছিল। নরেশ ব’লে যেতে লাগল--- ডাক্তারি পড়া সুরু করবার কিছু পর থেকেই তোমাদের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি । তার বছর দুত্তিন পরেই বিলেত যেতে হ’ল। ইতিমধ্যেই আমার বিবাহ হয়ে গিয়েছিল এবং পুত্ৰমুখ দেখবারও সৌভাগ্য হ'য়েছিল। বিলেতে কিছুদিন থাকতেই শ্ৰীপুত্র উভয়েরই সংক্রামক নুমোনিয়ায় মৃত্যুসংবাদ পেয়ে মনের অবস্থাটা কি রকম হ’ল বুঝতেই পার। পাশ করবার পর সেখানেই একটা হাসপাতালে कांच कृष्ण। cनa cकब्रबांद्म भडन भाननिक अवश इड আরও বৎসর কয়েক কেটে গেল। বিবাহ করবার আর ইচ্ছে ছিল না । কিন্তু দেশে ফিরে দেখলুম। বিবাহ না করলে ডাক্তারের পক্ষে পসার জমানো বড় শক্ত ব্যাপার। ঠিক বিলেতেরই মতো। কিন্তু