পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSኳ” 和f5画、西列心 চেষ্টা করা যায়। যেমন, সমুদ্রের গভীরতম তলদেশের জল খুব ঠাণ্ডা-ওই ধরণের ঠাণ্ডা জল fe# ብዘbር 5ጅ *ilርቛ •!! এমন অনেক প্রাণী আছে। ননুসাচু দ্বীপের গবেষণাগারে তাদের জন্য বরফ ও নাইটেটু দিয়ে ঠাণ্ডা জল তৈরী করা আছে—সেখানে নিয়ে যাবার সঙ্গে সঙ্গে ওই সব প্রাণীকে তাতে ডোবানো হয়। এই সমস্ত জলের পাত্র যাতে সামুদ্রিক প্রাণীদের কাৰ্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করার সুবিধা হয়, এ ভাবে নিৰ্ম্মিত। তারপর আমর; অনুবীক্ষণ নিয়ে ব’লে যাই বহু বিচিত্র গঠন ও আকৃতিবিশিষ্ট সামুদ্রিক প্রাণীদের অবয়ব, ইন্দ্ৰিয় এবং পরস্পরের সম্বন্ধ অনুসন্ধান করতে। মাইলখানেক গভীর সমুদ্রতলের অবস্থ। এত অদ্ভুত যে, অল্প কথায় তার বর্ণনা দেওয়া সম্ভব হয় না । প্রথমতঃ সে সব স্থানে এত অন্ধকার যে, পৃথিবীর উপরের মসীকৃষ্ণ ঘোর অন্ধকারময় রাত্রিও তার তুলনায় আলোকোজ্জ্বল। আর এত নিস্তব্ধ, শব্দহীন সে জায়গা যে, পৃথিবীপৃষ্ঠের অধিবাসীদের সে বিরাট শব্দহীনতার কোন ধারণাই নেই। এক মাইল --------- - - -- গভীর তলদেশেই অনেক সময় জলের চাপ প্ৰতি বর্গ *५ • ইঞ্চিতে এক টন—এবং শৈত্য মিষ্ট জল ও লোণজিল জমে বরফ হ’য়ে যাওয়ার মাঝামাঝি । সমুদ্রের তলার . এই অন্ধকারময় শীতের রাত্রির অবসান নেই, সৃষ্টির প্রারম্ভ থেকে সেখানে চির-রাত্রির অন্ধকার কখনও দূর হয় না। এখন ভাবুন, এই অদ্ভুত দেশের প্রাণীকুলও কত অদ্ভুত। এই ভয়ানক পারিপাৰ্থিক অবস্থার সঙ্গে যুদ্ধ ক’রে তাদের বেঁচে থাকতে হয়-যুগ যুগ ধ’রে এই অবস্থার সঙ্গে যুদ্ধে তাদের শরীর সেই ভাবে গ’ড়ে উঠেছে, যাতে এই ধারণাতীত শৈত্য ও বিরাট জলের চাপ সহ্য করতে পারে, যাতে এই নীরন্ধ, অন্ধকারের মধ্যেও তারা নিজেদের আহার খুঁজে নিয়ে প্ৰাণ ধারণ করতে পারে। কারণ জীবন মানেই আহার এবং এ সব স্থানে আহার মানেই অন্ত প্রাণীর প্রাণ হননি । কিন্তু এই পারিপাৰ্থিক অবস্থার সঙ্গে খাপ খাওয়ানো به تد. قسمتمم سیمم-سسسه - একদিনের ব্যাপার নয়। এই সকল জীবের পুর্বপুরুষেরা মত দেখিতে 匈博日· Jcwf ज्ञानि সমুদ্র-গর্ভের শৈলমাল কিংবা মহাদেশের যে অংশ ঢালু। হয়ে ক্রমশঃ সমুদ্রে নেমে গিয়েছে—সেই ঢালু গা বেয়ে ক্ৰমশঃ নেমে এসেছিল-নেমে আসতে আসতে ক্ৰমপরিবর্তনশীল প্ৰাকৃতিক অবস্থার সঙ্গে সঙ্গে তাদের দেহেরও পরিবর্তন ঘটে এসেছে-লক্ষ লক্ষ বৎসর এই ভাবে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে এসে বৰ্ত্তমানে তাদের দৈহিক গঠন এই রকম দাড়িয়েছে। আর সে কি অদ্ভুত পরিবর্তন। রূপ-কথার ড্রাগনরা কোথায় লাগে সমুদ্রতলস্থ এই সব প্ৰাণীদের কাছে ! t এই ভাবে নামতে নামতে যারা পারিপাখিক প্রাকৃতিক অবস্থাকে জয় করতে পেরেছে, আজ তাদের আমরা দেখছি।-কিন্তু যুদ্ধে অপারগ হ’য়ে যারা ধ্বংস হ’য়ে গেছে, লুপ্ত হ’য়ে গেছে-তাদের হিসাব কোথাও লেখা নেই। তবে শৈত্যের দরুণ এদের দৈহিক পরিবর্তন খুব বেশী হয় নি। যাদের রক্ত ঠাণ্ডা, যে দ্রব্যের মধ্যে তারা ভাসে, তাদের দেহ সেই দ্রব্যের উত্তাপ গ্ৰহণ করে। জলের চাপও এদের দেহের বিশেষ কোন পরিবর্তন ঘটায় নি । এদের দেহের যা-কিছু গঠনের অভিনবত্ব তা সবই হয়েছে সমুদ্রগর্ভের অন্ধকারের জন্য।