ମଧ୍ୟ ୩୩ଶ । Σ Σ. Σε স্ত্রীলোকে বিদ্যা-শিক্ষা করিয়া রাজসভার সভ্য হইবে ; পুরুষেরা তাহাদের পরিচ্ছদ লইয়া অন্তঃপুরে বসিয়া থাকিবে -এরূপ আপত্তিকারীরা বিদ্যাশিক্ষা যে কি জন্য, তাহার কিছুই জানেন না। কেবল পরের দাসত্ব হেতু বিদ্যাভ্যাস, এই কুসংস্কার মদে মুগ্ধ হইয়া রহিয়াছেন। বিদ্যা কি কারণ শিক্ষা করা আবশ্যক, র্যাহারা ইহার তাৎপৰ্য্য না জানিয়া বিদ্যাশিক্ষা করেন, অথবা বিদ্বান নামে বিখ্যাত হন, তাহারাও এইরূপ পুস্তক্যবাহক চতুষ্পদ, বোধ হয় ইহা বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। বিদ্যা অমূল্য ধন ও অভেদ্য সুহৃদ। বিদ্যা শিখিলে হিতাহিত বিবেচনা হয়! আপনার ও অন্যের শুভসাধন করা যায়। ঈশ্বরের মঙ্গলদায়ক নিয়ম জ্ঞাত হইয়া শারীরিক ও মানসিক সুখ সাধন করিতে পারা যায়। বিশ্বস্রষ্টার প্রতি ভক্তি ও কৃতজ্ঞতা রসে আর্দ্র হওয়া যায়। ইহা সেই মূঢ় মনুষ্যেরা না জানিয়া বিপরীত ভাবাবলম্বন করিয়াছে। এইরূপ কথোপকথনে রজনী প্ৰভাত হইল। দিননাথ পূর্ব দিক্ হইতে উদিত হইয়া অন্ধকারকে বিনাশ করিতে লাগিলেন। তদর্শনে বায়সকুল ব্যাকুল হইয়া সভয়ে কী কী ধ্বনি করিতে লাগিল। বসন্তকুমার প্রাতঃসময়ের কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম (ঈশ্বরে - পাসনা) সম্পন্ন করিয়া কুসুমবনে ইতস্তত: ভ্ৰমণ করিতেছেন, এই কালে সুকুমারী সহচরীগণে পরিবেষ্টিতা হইয়া পুষ্প চয়নাৰ্থ বৃক্ষবাটিকার দ্বারে উপনীত হইলেন। চন্দ্ৰিমা দূর হইতে বসন্তকুমারকে দেখিতে পাইয়া অঙ্গুলি সঙ্কেত দ্বারা সুকুমারীকে কহিলেন, সখি, ঐ দেখ, তোমার স্বপ্ন বুঝি প্রত্যক্ষ হইল।
পাতা:বিজয়-বসন্ত - জলধর সেন.pdf/১১৭
অবয়ব