পঞ্চম অধ্যায় । S SV) হইয়া কহিলেন, প্ৰিয়তমা! আপনি পতিরূপে বৃত হইয়া পতির ধৰ্ম্ম কি করিলেন ? আমি আৰ্য্যা আচাৰ্য্যানীর নিকট শুনিয়াছি, স্বামী আপন পত্নীকে যত্নের সহিত উপদেশ প্ৰদান করিবেন। স্বয়ং যে ধৰ্ম্মপরায়ণ হইয়া নিৰ্ম্মল আনন্দ ও নিত্য সুখ সম্ভোগ করেন, আপনি স্ত্রীকেও সেই পথের অধিকারিণী করিবেন। সহধৰ্ম্মিণীর অন্তঃকরণে যদি কোনপ্রকার কুসংস্কাররূপ কণ্টকীলতা বদ্ধমূল হইয়া থাকে, তবে স্বীয় জ্ঞানান্ত্রে তন্মলোম্মলন করবেন। স্ত্রী যদি বিদ্যাবিষয়ে একবারে বিরতা ও উদাসীন থাকে, অনুক্ৰমে উপদেশ প্ৰদান করিয়া তদ্বিষয়ের পরিহার করিবেন । যিনি স্ত্রীকে এইরূপে উপদেশ প্ৰদান করেন, তিনি যথার্থ পতির ধৰ্ম্ম প্ৰতিপালন করেন। নচেৎ যে স্বামী ইতরেন্দ্ৰিয়-সুখ-লালসায় অথবা পরিচর্য্যাহেতু পাণিগ্রহণ করেন, তিনি কদাচ স্বামীর ধৰ্ম্ম প্রতিপালন করেন না। তজ্জন্য ধৰ্ম্মসন্নিধানে অবশ্য দণ্ডনীয় হইবেন সন্দেহ নাই। বসন্তকুমার প্ৰেয়সীরা এরূপ সুকুমার বাক্য শ্ৰবণে অতিশয় গ্ৰীত হইয়া কহিলেন, প্রিয়ংবাদে ! তোমার এই প্ৰশ্নসূচক মধুর বাক্য-প্রভাবে আমার হৃদয়পুণ্ডরিক প্ৰফুল্প হইল। স্বামী স্ত্রীকে ধৰ্ম্মবিষয়ে উপদেশ দিতে যত্নবান হইলে, অন্যান্য স্ত্রী তাহাতে যত্নবর্তী হওয়া দূরে থাকুক, বরং বিরক্তিবােধ করিয়া থাকেন। প্রিয়ে! তুমি যে আপনি এ বিষয়ে শ্রদ্ধান্বিত হইয়াছ, ইহা অপেক্ষা সুখকর বিষয় আর কি আছে ? প্রথমে কোন বিষয় শুনিতে অভিলাষ হয়, বল, আমি তাঁহাই বৰ্ণনা করিতেছি।
পাতা:বিজয়-বসন্ত - জলধর সেন.pdf/১২৯
অবয়ব