বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিজয়-বসন্ত - জলধর সেন.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o বিজয় বসন্ত । কৃষ্ট গুণসম্পন্না হইয়াও যথাকলে পুত্ৰবতী না হওয়ায় সেইরূপ অশোভনীয়া ও মহারাজের বিমার্ষের কারণ হইয়াছিলেন । একদা নরপতি শারদী পৌর্ণমাসীর সায়ংকালে মহিষী সমভিব্যাহারে প্রাসাদোপরি ইতস্ততঃ ভ্ৰমণ করিয়া বায়ুসেবন করিতেছেন, এই কালে পূর্বদিক আলোকময় করিয়া পূৰ্ণচন্দ্র উদিত হইল ; চকোর চকোরী সেই সুধাময় কিরণে ক্রীড়া করিতে করিতে শূন্যপথে উডায়মান হইল ; কুমুদিনী গ্ৰীতিপ্ৰফুল্লচিত্তে নিশানাথকে দর্শন করিতে লাগিল; বিটপিপুঞ্জের হরিদ্বর্ণ পল্লবে চন্দ্রের শুভ্র রশ্মি পতিত হওয়ায় এক আশ্চৰ্য্য মনোহারিণী শোভা প্ৰকাশ পাইল ;-বোধ হয়, যেন তরুমণ্ডলী অগণ্য হীরকখণ্ডে ভূষিত হইয়া পবনান্দোলিত শাখাবাহু দ্বারা ঋতুরাজকে স্বাগত সম্ভাষণ করিতেছে। রাজা ও মহিষী এইরূপ সৌন্দৰ্য সম্প্রদর্শনে সানন্দািচত্তে জগদীশ্বরের অচিন্ত্য শক্তির গুণানুবাদ করিতে লাগিলেন । এমত সময়ে রাজভবনের অনতিদূরে এক ব্ৰাহ্মণশিশু আখট করিয়া ক্ৰন্দন আরম্ভ করিলে, তাহার মাতা তাহাকে অঙ্কে ধারণ করিয়া অঙ্গুলি-সঙ্কেত দ্বারা চন্দ্ৰমাকে লক্ষ্য করিয়া কহিতে লাগিলেন ; বাছা রে ; চুপ কর, ঐ দেখ বুড়ী মা আসিতেছে, LgBDBDDBD BBB DBDS DDD BDD BDB D gB বরং আরও ক্ৰন্দন করিতে লাগিল। মাতা পুনরায় “চাঁদ আয় চাঁদ আয়” বলিয়া পুত্ৰললাটে অঙ্গালিস্পর্শ করিতে লাগিলেন। সন্তানবৎসল ব্ৰাহ্মণপত্নীর বাৎসল্য-ভাবের এইরূপ মধুর 5