বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিজয়-বসন্ত - জলধর সেন.pdf/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ অধ্যায়। እ\9ዓ পৰ্ববত-নিঝর-নিকটে পরিষ্কৃত একটা মনোহর মন্দির শোভা পাইতেছে, এবং অলস্কৃত একটা দিব্যাঙ্গনা, সোপানাসনে বসিয়া, হা নাথ ! হা! নাথ । শব্দে রোদন করিতেছেন । তাহার অশ্রািজল অবিশ্রান্ত পতিত হইয়া, তরঙ্গিণীর তরঙ্গ-তুল্য নিঝর নীরে মিশ্রিত হইতেছে। দেখিলে বোধ হয়, ভাগীরথী যেন শাস্ত্যু রাজেন্দ্রের বিরহে ব্যাকুলা হইয়া রোদান করিতেছেন। এই চমৎকার ব্যাপার দেখিবা মাত্র, সুকুমারীর পতিদিরহানিল কতক নির্বাণ হইল। কেননা আত্মসদৃশ দুঃখিত জনকে দেখিলে, আপনার দুঃখের অনেক লাঘব হইয়া আইসে এবং তান্তেয় দুঃখের কারণ জানিস্ট্রে মন একান্ত ব্যগ্ৰ হইতে থাকে । সুকুমারী মনে মনে কহিতে লাগিলেন, আমার সে দশা, বোধ করি, ইর্তিার ও সেই দশা হইয়া থাকিবে, তাঙ্গাতে সন্দেহ নাই ; ইনিও আমার মত, তা নাথ ! হা নাথ ! বলিয়া রোদন করিতেছেন। পরে তাহার নিকটবৰ্ত্তিনা হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, প্রিয়সখি, তুমি রোদন কর কেন ? রোদনশীল রমণী কন্সিলেন, প্রিয়ভাষিণি ! কেন আমাকে সখী বলিয়া ডাকিতেছ ? আহা । তোমার মধুৰ সম্ভাষণে আমার প্রাণ শীতল হইল। সুকুমারী কহিলেন, না। আমি আপনাকে সখী বলিয়া ডাকি নাই, আমার দশা আপনার দশকে সখী বলিতেছে ; কেননা আমি যেমন হা নাথ! হা নাথ ! বলিয়া বনে বনে রোদন করিতেছি, আপনিও তদ্রুপ হা নাথ ! হা নাথ ! বলিয়া রোদন করিতেছেন। রোদিনশীলা রমণী, সুকুমারীকে নিকটে বসাইয়া কছিলেন, ভদ্ৰে !