দ্বিতীয় অধ্যায়”” . . ' : ৪১ এইরূপ নানা প্ৰকার বিলাপ-বাক্যে রোদন করিতেছে, সময়ে নগরপাল যমদূতের ন্যায়। ভয়ঙ্কর বেশ ধরিয়া তর্জনগৰ্জনে দ্বারে দণ্ডায়মান হইল । নগরপালের শরীর যেরূপ কৃষ্ণবৰ্ণ তেমনি স্কুল ও দীর্ঘ। দুই চক্ষু জবাপুষ্পের ন্যায় আরক্ত, গণ্ড অবধি নাসিকাতল পৰ্যন্ত দীর্ঘ শ্মশ্র। পরিধান রক্তবস্ত্ৰ, পৃষ্ঠদেশে ঢাল, কক্ষস্থলে তরবারি, এবং হস্তে বন্ধনরজিজু। কথাগুলি অতি কৰ্কশ । श्io, শুনিলে পিশাচ-শব্দ বােধ হয়। মনুষ্য দূরে থাকুক, তাহার সেই ভীষণমূৰ্ত্তি দেখিলে, সিংহ ব্যাস্ত্ৰও প্রাণভয়ে পলায়ন করে। নগরপালের স্বভাতঃ নিৰ্দয়, তাহাতে আবার রাজার আজ্ঞা, অতএব গভীরস্বরে কদৰ্য্য-বাক্যে ভৎসনা করিতে লাগিল । তাহার তর্জনে বিজয়চন্দ্ৰ প্ৰবাহস্থিত সুকোমল তরু-তুল্য কঁাপিতে লাগিলেন। তঁহার দুটি নয়নে বাষ্পবারি-সঞ্চার হইয়া আসিল, বাকশক্তি রোধ হইল এবং প্ৰফুল্ল মুখচন্দ্র রাহুভয়ে এককালে মলিন হইয়া গেল। তিনি দুঃখ কাহাকে বলে তাহার কিছুই জানিতেন না। অকস্মাৎ এই আসন্ন বিপদ দেখিয়া, একেবারে হতজ্ঞান হইলেন, দুরন্ত নগরপালের কথার কিছুই উত্তর দিতে পারলেন না। কেবল চিত্ৰপুতলিপ্ৰায় দণ্ডায়মান থাকিলেন । নগরপাল আর বিলম্ব না করিয়া স্পৰ্দ্ধাপূর্বক গৃহমধ্যে প্রবেশ করিল এবং বন্ধন করিতে উদেযাগ পাইল । তখন বিজয়চন্দ্ৰ কঁাপিতে কঁাপিতে কহিলেন, নগরপাল ! তুমি কি দোষে আমাদিগকে বন্ধন করিতে আসিয়াছ ? আমরা ত কোন অপরাধ করি
পাতা:বিজয়-বসন্ত - জলধর সেন.pdf/৪৫
অবয়ব