তৃতীয় অধ্যায়। 2\و( সজল-নেত্ৰে কহিলেন, বসন্ত ! তুমি কিয়ৎক্ষণ আমার অপেক্ষা করিয়া থাক, আমি জল লইয়া শীঘ্ৰ আসিতেছি। এই বলিয়া জলান্বেষণে গমন করিলেন। বসন্তকুমার অনিমিষ-লোচনে তাহার পথপানে চাহিয়া থাকিলেন এবং পীযুষ-পিপাসু আবদ্ধ গোবৎস যেমন ক্ষণে ক্ষণে শব্দ করে, তদ্রুপ তিনিও দাদা দাদা বলিয়া ডাকিতে লাগিলেন । বিজয়চন্দ্ৰ প্ৰসিদ্ধ পথ ধরিয়া কতক দূর চলিয়া গেলেন, কিন্তু জল কোথায়, কোন দিকেই বা যান, কিছুই নিশ্চয় করিতে না পারিয়া এক তমাল তরুতলে বসিয়া রোদন করিতে লাগিলেন । এমন সময়ে দেখিলেন একটা শশকী কতকগুলি শিশু সন্তান লইয়া তাহদের গাত্ৰ লেহন করিতে করিতে আসতেছে । শশকশিশুদের কাহারও গাত্রে কর্দমচিহ্ন, কাহারও সর্বশরীর জলাদ্র। বিজয়চন্দ্ৰ শশী-দর্শিত পথাবলম্বনে গমন করিয়া অনতিবিলম্বে একটা সুদীর্ঘ জলাশয়ের নিকটবৰ্ত্তী হইলেন, এবং “আমার সঙ্গে পাত্ৰ নাই, কি প্রকারে জল লইয়া যাইব৷” এই চিন্তা করিতেছেন, হঠাৎ পার্শ্বদিকে দৃষ্টিপাত করিয়া দেখিলেন, একটা দিগগজ মস্তকোপরি শুণ্ড তুলিয়া অতি বেগে ধাবিত হইতেছে। অমনি ব্যস্ত সমস্ত হইয়া, এক বৃক্ষের অন্তরালে দণ্ডায়মান হইলেন। করিবার দূর হইতে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিতে করিতে, বিজয়চন্দ্ৰকে দেখিতে পাইয়া সেই দিকেই ধাবিত হইল । বিজয়চন্দ্ৰ ভয়ে জড়ীভূত হইয়া কহিলেন, হা পরমেশ্বর! EL LBB BDD DDD DBDBBD KE DBYS S BD DDD
পাতা:বিজয়-বসন্ত - জলধর সেন.pdf/৬৭
অবয়ব