ዓኳ” বিজয়-বসন্ত । ও উৎসাহান্বিত করণার্থ, প্ৰিয়সম্বোধনে কহিলেন “মহারাজ ! আপনি এত কাতর হইতেছেন কেন ? বিপদ ও সম্পদ উভয়ই মনুষ্যেরা ভোগ করিয়া থাকেন। পরমেশ্বর জীবগণের মঙ্গলের নিমিত্তই অমঙ্গল সৃষ্টি করিয়াছেন। দুঃখ না থাকিলে সুখামুভব কে করিত ? অতএব তিনি যাহা করেন, তাহাই আমাদের মঙ্গলের কারণ। পার-জিগমিষু যেমন তরণী অবলম্বন করে, তদ্রুপ বিপদকালে সাহসাবলম্বন করা উচিত। কাপুরুষেরাই বিপদে ভীত হইয়া থাকে। বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা ধৈৰ্য্যাবলম্বনে কৌশলে কাৰ্য্য সম্পন্ন করেন। বীৰ্য্যহীন লোকেরাই সময়ে সময়ে বিপদে বিহবল হয়, কিন্তু বীর পুরুষেরা আমোদ জ্ঞান করিয়া তাঁহাতে অগ্রসর হন। শিবগণ গজগৰ্জনে শঙ্কাতুর হইয়া বিবরান্তরে প্রবেশ করে, কিন্তু সিংহ তাহাতে আনন্দ জ্ঞানু করিয়া সমরে উপস্থিত হয়। যেমন, সময় উপস্থিত হইলে, অনল দাহন করিতে, মেঘ বারিবর্ষণ করিতে, কিরণমালী কিরণ অৰ্পণ করিতে, পবন গমন করিতে, দেবরাজ দৈত্য দালন করিতে, বিরত হন না ; তদ্রুপ ক্ষত্ৰিয়সন্তানগণ, যুদ্ধ উপস্থিত হইলে, যুদ্ধদানে কদাচ পরামুখ হন না। রাজা যুদ্ধদানে বিরত হইলে ও ভয়প্রযুক্ত পলায়ন করিলে রাজশ্ৰীভ্রষ্ট এবং ইহলোকে অকীৰ্ত্তিমান ও পরলোকে পাপভাজন হন। বীরপুরুষ যদি পরাক্রম প্ৰকাশ করিয়া সম্মুখ সংগ্রামে তনুত্যাগ করেন, তাহা হইলে তিনি ঐহিকে কীৰ্ত্তিশালী ও পারিত্রিকে ধৰ্ম্মশিখরবাসী হন। অতএব মহারাজ ! যুদ্ধ পরিত্যাগ করিয়া কদাচ পলায়ন
পাতা:বিজয়-বসন্ত - জলধর সেন.pdf/৮৪
অবয়ব