চতুর্থ অধ্যায়। ዓ እቅ করিবেন না।” রাজা প্ৰিয়বাদিনী প্ৰেয়সীরা এরূপ উৎসাহবাক্যে উত্তেজিত হইয়া সমরোদেযাগ করিতে লাগিলেন । রাজাজ্ঞায় অস্ত্ৰ শস্ত্র পরিষ্কৃত ও • শাণিত, সেনা গজ বাজী পরিবৰ্ত্তিত ও বদ্ধিত, রথ সংস্কৃত এবং আহারীয় দ্রব্য সঞ্চিত হইয়া দুর্গ পরিशूब्रिड श्न। দেশ কাল পাত্র বিবেচনা করিয়া রাজা রমণীমোহন, দুর্গরক্ষক সৈনিক দ্বারা দুৰ্গ দৃঢ়তর বদ্ধ করিয়া যুদ্ধযাত্ৰা করিলেন। পতিপ্ৰাণা সুশীলা পতির সাহস ও উৎসাহ বৰ্দ্ধনাৰ্থ তাহার সহচরী হইলেন। বিপক্ষের সম্মুখস্থ উপযুক্ত স্থানে শিবির সন্নিবেশিত হইল। নৃপতি কেবল বনিতার বুদ্ধি কৌশলে সেনাশ্ৰেণী সংস্থাপন করিয়া অভেদ্য বৃহ নিৰ্ম্মাণ করিলেন। কালাগ্নিসদৃশ যুদ্ধাগ্নি প্ৰজ্বলিত হইয়া উঠিল। কোন পক্ষে । পরাজয়, কোন পক্ষে বিজয় হইবে, তাহার কিছুই নিৰ্দ্ধারণ হইলু না। উভয় পক্ষের দলবলই অপরিমিত পরাক্রম প্ৰকাশ করিতে । লাগিল। সৈন্য কোলাহলে, কোদণ্ড-টঙ্কারে, রথচক্র শব্দে, গজগর্জনে এবং হুেষারবে, রণস্থলী ভীষণমূৰ্ত্তি ধারণ করিল। এই কালে বিপক্ষ-পক্ষ হইতে হঠাৎ এক সুতীক্ষ্ম সায়ক আসিয়া রাজার ললাটদেশ একবারে বিদীর্ণ করিয়া ফেলিল। রাক্তা মূচ্ছিত হইয়া বাত্যোৎপাটত বনস্পতির ন্যায়, কেশরি-কারবিদীর্ণশিরা করির ন্যায়, রথোপরি পতিত হইলেন। সারথি তৎক্ষণাৎ রথ প্ৰত্যাবৰ্ত্তন করিল। ভারতবর্ষীয় সেনা ও সেনানায়কগণের চিরপ্রসিদ্ধ প্ৰধান
পাতা:বিজয়-বসন্ত - জলধর সেন.pdf/৮৫
অবয়ব