বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিজয়-বসন্ত - জলধর সেন.pdf/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bታ መ বিজয়-বসন্ত । দোষ এই যে, রাজা যুদ্ধে মৃত বা হীনবল হইলে সহস্ৰ সহস্ৰ যোধ সত্ত্বেও তাহারা ভগ্নোৎসাহ ও শ্রেণীভঙ্গ হইয়া পলায়নপরায়ণ হয়। রাজা রমণীমোহনের সেনামধ্যেও তদ্রুপ গোলযোগ উপস্থিত হইল । রাণী এই ঘটনায় নিতান্ত উৎকষ্টিত হইলেন। এবং পতিবিয়োগ-শোকসাগর উদ্বেল হইয়া উঠিলেও, তৎকালে দুঃখ সংবরণ করিয়া, ধৈৰ্য্যাবলম্বনে যুদ্ধসজ্জায় রণক্ষেত্রে যাত্রা করিলেন। তঁহার তৎকালের ভীষণাকৃতি দেখিয়া সকলের বোধ হইতে লাগিল, যেন ভগবতী শ্যামাকৃতি হইয়া তুহিনাচলে Šनऊानन जनन कब्रिएङ बाश्एउछन । ब्राख्क्लो বৃহপ্ৰবেশপূর্বক সৈন্যদিগকে উৎসাহ প্ৰদান করিয়া কহিলেন, “আমি পতিহীনা হইয়াছি বটে, কিন্তু পুত্ৰহীন হই নাই। এখনও আমার সহস্ৰ সহস্ৰ পুত্ৰ বিদ্যমান রহিয়াছে। তাহারা কেহই হীনবীৰ্য্য নহে, সকলেই অপরিমিত পরাক্রমশালী। হায়! এ কি সাধারণ দুঃখের বিষয়, আমি সহস্ৰ-সহস্ৰ-বীর-মাতা হইয়াও বিপক্ষের হস্তগত হইব। আমার পুত্রেরা কি তাহা স্বচক্ষে দেখিবে! ংসারে যতপ্রকার সুখ আছে, স্বাধীনতা-সুখ সকল হইতে শ্ৰেষ্ঠ। ংসারে যত প্রকার দুঃখ আছে, পরাধীনতা-দুঃখ সকল হইতে দুঃসহ। হায়! আমার বীৰ্য্যবান সন্তানেরা কি পরাধীনতাশৃঙ্খলে আবদ্ধ হইবে এবং দারুণ পরনিগ্ৰহ সহ্য করবে। যে স্বৰ্ণময়ী বিজয়নগরী জয় করিতে ইন্দ্রসুত জয়ন্তও ভীত হইতেন, এক্ষণে কি সেই নগরী সামান্য সামন্ত-সমরে পরাজিত হইয়া