চতুর্থ অধ্যায়। ክረዓ সেনাগজগণের সহিত মিলিত হইল। তৎকালে বিজয়চন্দ্ৰ অচৈতন্য অবস্থায় ছিলেন। দেখিয়া মীনাহতি-রহিত নিস্তব্ধ নীর হঠাৎ আন্দোলিত হইলে তন্নিবাসী জন্তু যেমন বিচলিত হয়, সভ্যগণ সেইরূপ সচকিত হইয়া উঠিলেন। রাজমন্ত্রী তৎক্ষণাৎ বিজয়চন্দ্ৰকে ব্যজন করিতে লাগিলেন, ভূত্যেরা বারি। আনিয়া তাহার চক্ষে ও মস্তকে সিঞ্চন করিতে লাগিল। রাজবৈদ্য বিজয়চন্দ্রের চৈতন্যসম্পাদন জন্য বিশেষ যত্নবান হইলেন। এবংবিধ শুশ্ৰীযায় তিনি অবিলম্বেই পুনর্বার চৈতন্যাশ্রয় করিলেন। স্বাস্থ্যাবস্থায় জিজ্ঞাসিত হইলে, মন্ত্রীর নিকট আত্মপরিচয় আদ্যোপান্ত সমুদায় বর্ণনা করিয়া, বসন্তের নিমিত্ত নিতান্ত উৎকষ্ঠিত হইয়া রোদন করিতে লাগিলেন । তৎকালে বিজয়চন্দ্ৰ শোকে ও তাপে অত্যন্ত ভগ্নচিত্ত ও উন্মত্তবৎ হইয়াছিলেন, এবং এরূপ দুর্বল হইয়াছিলেন যে, এক পদ-গমনেও মোহ উপস্থিত হইত। সুতরাং তিনি স্বয়ং অনুজের অন্বেষণে অশক্ত হইলেন । কিন্তু তাহার অন্তঃকরণ অনবরত অনুজচিন্তায় নিরত রহিল। রাজসচিব বসন্তকুমারের অন্বেষণার্থ বিজয়চন্দ্রের প্রদর্শিত পথে শত শত ভূত্যকে দ্রুতগামা অশ্বারোহণে প্রেরণ করিলেন। পরতাপাদ্রি সারদ্বাজ মুনিবার বসন্তকুমারকে আপন ভবনে লইয়া গিয়াছিলেন, সুতরাং অন্বেষণকারা ভূত্যেরা ইতস্ততঃ বিস্তর তত্ত্ব করিয়া প্ৰত্যাবৰ্ত্তনপূর্বক বিমৰ্ষ মনে সমুদায় বৃত্তান্ত নিবেদন করিল। বিজয়চন্দ্ৰ সহােদরের মৃত্যু নিশ্চয় করিয়া হৃদয়বিদীর্ণকর বাক্যে নানাবিধ বিলাপ করিতে
পাতা:বিজয়-বসন্ত - জলধর সেন.pdf/৯৩
অবয়ব