পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭২
বিদ্যাসাগর।

ফেলিয়াছিলেন। প্রকাশ করিলে বা পাতের নিকট রাখিলে, ভ্রাতা বা পিতা ঘৃণাপ্রযুক্ত আর ভোজন করিবেন না, ইহা ভাবিয়া তিনি আরসুলাটী ব্যঞ্জন সহিত ভক্ষণ করেন।

 আহারের তো এই অবস্থা। শয়নের অবস্থা শুনিলে চমৎকৃত হইতে হয়। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পুত্র শ্রীযুক্ত নারায়ণচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের মুখে তাহার শয়নব্যাপারের এইরূপ পরিচয় পাইয়াছি” নারায়ণ বাবু বলেন,—“এক দিন চন্দননগরের বাসা-বাড়ীতে আমি বলিলাম,—বাবা! এ ছোট ঘরে শুইতে আপনার কষ্ট হইবে না তো?’ বাবা বলিলেন,—“বলিস্ কি রে! ছেলে বেলায় বড়বাজারের বাসায় আমি দেড় হাত চওড়া ও দু-হাত লম্বা একটী বারাণ্ডায় প্রত্যহ শয়ন করিতাম। বারাণ্ডার আলিসা আমার বালিস ছিল। আমি বারাণ্ডার মাপে একটা মাজুরী করিয়াছিলাম, সেই মাজুরীতেই শয়ন করিতাম। এক দিন রাত্রিকালে দেখিলাম, সেই মাজুরীরর উপর আমার একটা ভ্রাতা শুইয়া আছে। এ আমি তাহার নিকট গিয়া অনেক ডাকা-ডাকি করিলাম; সে কিন্তু কিছুতেই উঠিল না, তখন আমি তাহার নিজের বিছানায় শুইলাম।শুইবামাত্র আমার গায়ে বিষ্ঠা লাগিয়া গেল। আমি তখন আস্তে আস্তে উঠিয়া একটু মজা করিব বলিয়া যেখানে আমার সাধের বিছানায় ভাইটী গুইয়াছিল, সেইখানে গিয় তাহাকে ডাকিয়া বলিলাম, উটবি তো ওট, না হলে তোর গায়ে বিষ্ঠা মাখাইয়া দিব। তখন সে তাড়াতাড়ি উঠিয়া, পড়িল। তাহাকে উঠিতে দেখিয়া চলিয়া আসিলাম। সে রাত্রিতে আর নিদ্রা হয় নাই।” জগদদুর্ল্ভ বাবুর বাড়ীর সন্মুখে তিলকচন্দ্র ঘোষ নামক এক ব্যক্তির বাড়ীর নিম্নতলে একটা ঘরে ঈশ্বরচন্দ্র