যে কার্য্যতৎপরতা ও দৃঢ়তার প্রয়োজন, তারা তাঁহার নাই। প্রাচীন বলিয়া তিনি কাহারও উপদেশের বশবর্ত্তী হইয়া চলিতে অনিচ্ছুক, সুতরাং তাঁহার শ্রেণীতেই বিশেষ গোলযোগের প্রভাব। তন্নিমিত্ত আমি প্রস্তাব করিতেছি যে, তাঁহার বর্ত্তমান বেতন মাসিক ৪০ টাকা দিয়া তাহাকে লাইব্রেরি ভার দেওয়া হয় ও লাইব্রেরি বর্ত্তমান অধ্যক্ষ, এই বিদ্যালয়ের একজন প্রসিদ্ধ ছাত্র যুক্ত পণ্ডিত গিরিশচন্দ্র বিদ্যারত্নকে ৩০, টাকা বেতনে ব্যাকরণের পঞ্চম শ্রেণীর অধ্যাপক পদে নিযুক্ত করা হয়। পরি-শেষে সুবিধা ঘটিলে তাহার বেতন ৩০ টাকা হইতে ৪০ টাকায় বৃদ্ধি করিয়া দেওয়া হয়।
শ্রেণী হইতে অন্য শ্রেণীতে উন্নয়ন।
বালকগণের এক শ্রেণী হইতে অন্য শ্রেণীতে উন্নয়ন সম্বন্ধে কলেজের বর্তমান পদ্ধতি এই যে, তাহারা নির্দিষ্ট সময় পর্যান্ত এক শ্রেণীতে পাঠ করে। পরে সময় অতীত হইলেই, তাহা- দিগের বিদ্যার পারদর্শিতা লাভ হইল কি না, সে বিষয় দৃষ্টি না করিয়া তাহাদিগকে অন্য শ্রেণীতে উন্নীত করা হয়। এই পদ্ধতি হইতে এই কু-ফল উৎপন্ন হয় যে, কোন শ্রেণীতে কেই পাঠ শেষ করিলেও তাহাকে নির্দিষ্ট সময় অতীত না হইলে উপকার শ্রেণীতে উঠিতে দেওয়া হয় না। কিন্তু যদি অপর কোন ছাত্র, সকল বিষয়ে অনুপযুক্ত হইয়াও কোন শ্রেণীতে নির্দ্দিষ্ট সময় সমাপ্ত করে, তবে তাহাকে উপরকার শ্রেণীতে পাঠ করিতে দেওয়া হয়। আমি তজ্জন্য প্রস্তাব করি যে, গুণানুসারে উঠাইয়া দিবার ব্যবস্থা