পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিদ্যাসাগর।

বিদ্যাসাগবকে দেখিয়া, বাষ্পাকুললোচনে 'কাতরভাবে তাহার পানে একবাব তাকাইলে, চক্ষের জলে তাঁহার বুক ভাসিয়া যাইত। কপর্দক হস্তে না থাকিলেও, তদণ্ডে তিনি ঋণ করিয়া ঋণীর ঋণ পরিশোধ করিতেন।

 এরূপ দান অবশ্য সংসারের পক্ষে সকল সময় সর্ব্বথা অনু, করণীয় ও প্রবর্ত্তনীয় নয। ইহাতে অনেক সময় বিপদগ্রস্ত হইতে হয়। বিলাতী কবি গোল্ডস্মিথ কতকটা এইরূপ দানশীলতার মধ্যে মধ্যে বিপদগ্রস্ত হইয়াছিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়কে অবগু কখন সেরূপ হইতে হয় নাই। হইলেও ইহা যে স্বাভাবিকী সহৃদয়তার পরিচায়ক, তাঙ্গতে সন্দেহ কি?

 প্রাসাদ-বিহারী কোটিপতি হইতে “কন্মটাড়ে"র পর্ণকুটির বাসী অশিক্ষিত দীন হীন সাওতাল পর্য্যন্ত জানিত,—“বিদ্যাসাগক দয়ার অবতার।” এই জন্য তিনি হিন্দু, ৰৌদ্ধ, খৃষ্টান, মুসলমান, শিখ, পারসিক, সর্ব্ব দেশের সর্ব্ব জাতির সমান বরণীয় এবং মাননীয়। তাঁহার বিধবা-বিবাহ-প্রচলনের কার্য্যাষ্ঠান সম্বন্ধে যাঁঁহার বিরুদ্ধ বাণী ছিলেন, তাহারাও ঐ কার্য অতিমাত্র দয়া প্রবক্তার ফল বুঝিতে পারিয়া তাহার প্রতি ভক্তিহীন হন “নাই। সে দয়ার সাগর বিদ্যাসাগর কোথায়। সে দানীর সর্বজনসমাদৃত বিদ্যাসাগর কোথায়!

 যখন শোকের দারুণ শক্তিশেল বুকের উপব, যখন যাতনব অগ্নিস্তুপ মর্ম্মের ভিতর, তখন “জন্মভূমি” পত্রিকায় এ অধম লেখকের উপর বিদ্যাসাগরের জীবনী লিথিবীর ভাব পড়িযাছিল। মনে করিাছিলাম, জালা জুড়াইলে, সম্পূর্ণ উপকরণ সংগ্রহ করিয়া, জীবনী লিপিতে প্রবৃত্ত হইল। জ্বালা জুড়াইল না;