পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৩০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
শকুন্তলা।
২৭৩

মনোনিবেশ করিল। সেই হইতে রীতিমত ইংরেজি শিক্ষা হইতেছে। বিদ্যাসাগর মহাশয় উন্নত প্রণালীতে ইংরেজি শিক্ষা চালাইবার উদ্দেশ্যে ভাল ভাল ইংরেজি শিক্ষিত শিক্ষক নিযুক্ত করিয়াছিলেন। শ্রীনাথ দাস, প্রসন্নকুমার সর্ব্বাধিকারী, তারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায় প্রভৃতি ইংরেজি-বিদ্যবিশারদ ব্যক্তিগণ তাঁহার সময়ে সংস্কৃত কলেজের অধ্যাপক ছিলেন। ইংরেজি শিক্ষার প্রসারে সংস্কৃত শিক্ষাশ্রোত অনেকটা তেজোহীন হয়। সংস্কৃত কলেজের প্রতিষ্ঠাকালে আপত্তি তুলিয়া যিনি ইহাকে ইংরেজি স্কুলরূপে প্রতিষ্ঠিত করিবার পরামর্শ দিয়াছিলেন, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সময় তাঁহার প্রেতাত্মার অর্দ্ধাধিক তৃপ্তি হইয়াছিল, অধুনা প্রায় পূর্ণ।[১]

 বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সময় কাশ্মীরের ভূতপূর্ব্ব সচিব এবং বর্তমান মিউনিসিপালিটীর ভাইস-চেয়ারম্যান শ্রীযুক্ত নীলাম্বর মুখোপাধ্যায় মহাশয় সংস্কৃত কলেজের ছাত্র ছিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় তঁহাকে বড় ভাল বাসিতেন। তাঁহার বিশ্বাস ছিল, নীলাম্বর ভবিষ্যতে বড় লোক হইবেন।[২] পূর্ব্বে সংস্কৃত কলেজে লীলাবতী


  1. সংস্কৃত কলেজের পরিণাম-স্মরণে দুঃখ করিয়া একদিন ভুতপূর্ব্ব অধ্যাপক পণ্ডিত জয়গোপাল তরকালঙ্কার বলিয়াছিলেন,—“হায়! সংস্কৃত বিদ্যালয়ের সেই সুখের সময় এবং বর্তমান পরিবর্তন স্মরণ করিলে প্রাণ কেমন করিয়া উঠে। কি শোচনীয় পরিণাম! শ্রীযুক্ত রামাক্ষর চট্টোপাধ্যায় সঙ্কলিত ৺প্রেমচাঁদ তর্কবাগীশের জীবনচরিত। ৭৮ পৃষ্ঠা।
  2. নীলাম্বর বাবু উচ্চপদ পাইয়াও বিদ্যাসাগর মহাশয়কে ভুলিয়া যান নাই। তিনি সেখান হইতে প্রগাঢ় ভক্তিসহকারে বিদ্যাসাগর মহাশয়কে পত্রাদি লিখিয়া নানা বিষয়ের পরামর্শ লইতেন। প ফুগের সময় নীলাম্বর বাবু পুর্ব্বে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পরামর্শ লইয়াছিলেন।