পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৩৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩১৮
বিদ্যাসাগর।

Quaterly Review নামক পত্রিকার Child widow নামক প্রবন্ধলেখক এই কথা লিখিয়াছেন,—

 “It has proved a dead letter. Not only does it fail to secure to a widow her civil rights to property inherited from her husband, but it has not in the least degree mitigated the religious abhorrence with which orthodox Hindus regard such re-marriage.”[১]

 বিধবা বিবাহের আইন পাশ হইল; কিন্তু আইনে বিধবা পুনর্বিবাহে, মৃত স্বামীর বিষয়াধিকার রহিল না। তা না থাকুক, বিধবা-বিবাহের পক্ষপাতিরা বিধবা-বিবাহ প্রচলন পক্ষে এই আইন টাকে একটী মহদাশ্রয়রূপে অবলম্বন করিলেন। আইন পাশ হইবার পর, ১৮৫৬ খ্রীষ্টাব্দেব ৭ই ডিসেম্বর বা ১২৬৩ সালের ২৩শে অগ্রহায়ণ, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের যত্নে ও উদ্যোগে, রাজকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুকিয়া স্ট্রীটস্থ ভবনে, প্রসিদ্ধ কথক ৺রামধন তর্কবাগীশের কনিষ্ঠ পুত্র শ্রীশচন্দ্র বিদ্যারত্ন বিধবা-বিবাহ করেন।[২] এই বিধবা-বিবাহ সম্বন্ধে তৎকালে সংবাদ প্রভাকরে যে বিবরণ প্রকটিত হইয়াছিল, এইখানে তাহা প্রকাশিত হইল,—


  1. The woman of India, P, 127.
  2. ১৫ই অগ্রহারণ বিবাহের কথা ছিল। কিন্তু শ্রীশচন্দ্র বিস্তারত্ন মাতৃপ্রতিবন্ধকের ছল ধরিয়া, বিধবা-বিবাহ করিতে অসম্মত হন। এই কথা লইয়া, তৎকালে ২৭শে নবেম্বর তারিখের ইংলিশম্যান বিদ্রূপ করেন। ইহার পর শ্রীশচন্দ্র পুনরায় বিবাহ করতে সম্মত হন। শ্রীশচন্দ্রের যে দিন বিবাহ হয়, সে দিন নবদ্বীপাধিপতি রাজা শ্রীশচন্দ্র লোকান্তরিত হন। সংবাদ প্রভাকর।