পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৪২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৮৬
বিদ্যাসাগর।

রত্ন মহাশয় বিদ্যাসাগর মহাশয়ের নিকট চতুষ্পাঠীর সাহায্যার্থ প্রার্থনা করিয়া মাসিক ১০৲ টাকার বৃত্তি চারি বৎসর কাল পাইছিলেন। পরে তিনি উপায়ক্ষম হইয়া বৃত্তি বন্ধ করিয়া দেন। মাসিক বৃত্তি ব্যতীত ন্যায়য়রত্ন মহাশয় আরও নানারূপ সাহায্য পাইতেন।

 বিদ্যাসাগর মহাশয় কেবল সাহায্যপ্রার্থিমাত্রেরই প্রার্থনা পূর্ণ করিয়া ক্ষান্ত থাকিতেন না। কোথায় কাহার কিরূপ কষ্ট, কে কোথায় অর্থাভাবে দারুণ দারিদ্র্য-নিষ্পেষণে বিপদাপন্ন অথবা অন্নাভাবে ভীষণ জঠরানলে অবসন্ন, তাহার সন্ধান লইয়া, তিনি স্বকীয় সাধ্যমত আর্ত্তত্রাণোপযোগী সাহায্য করিতেন। যখনই তিনি বাহির হইতেন, তখনই টাকা, আধুলী, দুয়ানী, পয়সা সঙ্গে লইতেন। সেগুলি প্রায়ই ফিরিয়া আসিত না। শুনিয়াছি সময়ে সময়ে রাত্রিকালে বাড়ী ফিরিবার সময় কোন অভাগিনী বেশ্যাকে উপার্জ্জন আশায় কষ্টভোগ করিতে দেখিলে, তিনি তাহাকে টাকা পয়সা দিয়া, সে রাত্রির জন্য তাহাকে ফিরিয়া যাইবার জন্য পরামর্শ দিতেন। এক সময়ে, কলিকাতা সহরে এক অতি দরিদ্র দুঃখী মাদ্রাজী স্ত্রী ও বহু সন্তান-সন্ততি লইয়া, অতি নীচ জঘন্য মলিন্যপূর্ণ অস্বাস্থ্যকর স্থানে বাস করিতেছিলেন। তাঁহাদের দুঃখের পার ছিল না। বিদ্যাসাগর মহাশয় তাঁহাদের শোচনীয় অবস্থার কথা শুনিয়া স্বয়ং তাঁহাদের আলয়ে উপস্থিত হইয়াছিলেন এবং তাঁহাদিগের সুখ-স্বচ্ছন্দে থাকিবার ব্যবস্থা করিয়া দিয়াছিলেন।

 এক দিন বিদ্যাসাগর মহাশয় একটী বন্ধুর সহিত কলিকাতার সিমলা-হেদুয়ার নিকট পদচারণা করিতেছিলেন। সেই সময়