পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৪৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৫০
বিদ্যাসাগর।

সাহেবের সহায়তায় তিনি এ বিষয়ে সবিশেষ ব্যুৎপত্তি লাভ করেন। চিকিৎসাতেও তাঁহার যথেষ্ট প্রতিপত্তি হইয়াছিল। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসামতে রাজেন্দ্র বাবু বিদ্যাসাগর মহাশয়ের শিরঃপীড়া আরাম করিয়াছিলেন। রাজেন্দ্র বাবুর হোমিওপ্যাথিক ঔষধসেবনে রাজকৃষ্ণু বাবু নিদারুণ মলকৃচ্ছতা পীড়া হইতে আরোগ্য লাভ করিয়াছিলেন। রাজকৃষ্ণ বাবুকে মলত্যাগ করিবার সময় ফিচকারী ব্যবহার করিতে হইত। ফিচকারী ব্যবহারে কঠোর মল অতিকষ্টে নির্গত হইত; এবং তাঁহার দুই জানুদ্বয় রক্তস্রাবে ভাসিয়া যাইত। এ হেন রোগ কেবল হোমিওপ্যাথিকের বিন্দুপানে আরাম হইল দেখিয়া বিদ্যাসাগর মহাশয় বিস্মিত হইয়াছিলেন। অতঃপর হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিষয়ে তিনি সবিশেষ মনঃসংযোগ করেন। ইহাতে কতকটা ব্যুৎপত্তি লাভ করিয়া তিনি অনেকের চিকিৎসা করিতেন। তাঁহার পরামর্শে তদীয় মধ্যম ভ্রাতা দীনবন্ধু ন্যায়রত্ন মহাশয় একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হইয়াছিলেন। বিখ্যাত হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার মহেন্দ্রনাথ সরকার মহাশয় তখন এলোপ্যাথিক মতে চিকিৎসা করিতেন। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার উপর তাঁহার বিষম বিদ্বেষ ছিল। তিনি প্রায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার নিন্দা করিতেন। একদিন বিদ্যাসাগর মহাশয় এবং মহেন্দ্র বাবু হাইকোর্টের জজ পীড়িত অনারেবল দ্বারকানাথ মিত্রকে দেখিতে গিয়াছিলেন। প্রত্যাবর্তনের সময় গাড়ীতে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সঙ্গে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সম্বন্ধে মহেন্দ্র বাবুর ঘোরতর বাদানুবাদ হইয়াছিল। শেষে মহেন্দ্র বাবু বিদ্যাসাগর মহা-