পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৬০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৭২
বিদ্যাসাগর।

নাই। যখন আমি মতি বাবুকে বেণীমাধবের পুত্রের পক্ষে উইল আনুযায়িক মোকদ্দমা আনিতে বলি, তখন আমার ধারণা ছিল যে, সারদা বাবু কোন উইল করেন নাই। যখন আমি রাজেশ্বরীকে বলি যে, আপনি আপনার স্বামীর ইচ্ছানুযায়িক কার্য্য করিতে বাধ্য, তখন আমার ধারণা ছিল যে, সারদা বাবু উইল করেন নাই। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমি রাজেশ্বরীকে কখন বলি নাই যে, আপনার স্বামী উইল করেন নাই। আমি এ কথা যোগেন্দ্রকেও বলি নাই। যখন আমি মতি বাবুকে বেণীমাধবের পক্ষে মোকদ্দমা আনিতে বলি, তখন আমার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে, উইলটী জাল এবং কাল্পনিক। এই ৮ বৎসর ধরিয়া আমি এই বিষয় মনে রাখিয়াছি। আমি বৃন্দাবনচন্দ্র রায়কে ঈশ্বরসিংহের স্বাক্ষর সম্বন্ধে কিছু বলিয়াছিলাম কি না, তাহা স্মরণ নাই। আমি পাকপাড়ার রাজাদিগের নিকট টাকা ধারি না; কিন্তু আমি ঐ বাটীর এক স্ত্রীলোকের নিকট হইতে ২০০০ টাকা ধার করিয়াছি। প্রশ্ন,—তোমার এক্ষণে দেনা আছে কি না? উঃ—আমি এ প্রশ্নের জবাব দিব না। আদালত এই প্রশ্ন পুনবায় জিজ্ঞাসা করিতে দেন এবং তাহার জবাব চান। সাক্ষী বলেন, আমার দেনা আছে। আমি কোন বইর কপিরাইট ত বেনামেতে রাখি নাই। সারদা বাবুর মৃত্যুর পর তাঁহার বিষয় হইতে আমি টাকা ধার চাহিয়াছিলাম কি না, তাহা আমার মনে নাই। বোধ হয় আমি ঋণ চাহি নাই। আমি ঋণ চাহিতে সক্ষম নই। পুনরায় জিজ্ঞাসা করিলে সাক্ষী বলেন,—আমি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জন সদস্য; কিন্তু সিণ্ডেকেটের এক জন মেম্বর নই। আমি মেট্রপলিটন ইনষ্টিটিউশনের প্রধান তত্ত্বাবধায়ক। প্রশ্ন—