পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৬২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মত
৫৯১

সম্বন্ধে তিনি যে মত লিখিয়া গবর্ণমেণ্টকে পঠাইয়াছিলেন, তাহা নিয়ে প্রকাশিত হইল,—

 “এই বিলের সর্ব্বতোভাবে অনুমোদন করিতে আমি সম র্থনহি। ষে স্থলে স্ত্রী দ্বাদশ বর্ষ বয়ঃক্রমের পূর্ব্বে ঋতুমতী হয়, সে স্থলে উক্ত বিল আইনে পরিণত হইলে, সর্ব্ববিধায়ে গর্ভাধান-সংস্কারাকুষ্ঠানের প্রতিপক্ষ হইয়া দাঁড়াইবে। গর্ভাধানসংস্কার শাস্ত্রবিহিত; সকলের পক্ষে অঙ্গুষ্ঠেয় ও সাধারণতঃ বঙ্গদেশে প্রচলিত। স্ত্রীর প্রথমে রজোদর্শন হইলে স্বামীকে এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন করিতে হয়। এই অনুষ্ঠানের অনুকূলে অনেক শাস্ত্রীয় বচন উদ্ধৃত করিবার প্রয়োজন দৃষ্ট হয় না। এস্থলে কলিযুগের সর্বপ্রধান প্রমাণ একটি পরাশরবচন উদ্ধত করিলে যথেষ্ট হইবে,—

“ऋतुस्रानान्तु यो भाय्र्या सबिधी नीयगच्छति।
धीरायां श्रृ.चत्वायां युज्यते नात्र संशयः॥ ४॥२४॥“

 “প্রথম রজোদর্শনকালীন ঋতুস্নাতা ভর্য্যাসমীপে যে স্বামী গমন না করেন, তিনি ভ্রুণহত্যারূপ মহাপাতক সঞ্চয় করেন।”

 যেহেতু কতকগুলি বলিকা দ্বাদশ বর্ব অতিক্রম করিবার পূর্ব্বেই প্রথম রজোদর্শন করে, বিল আইনে পরিণত হইলে, তাহাদিগের সম্বন্ধে উক্ত বিধির অনুষ্ঠান আদৌ হইতে পারিবে না, সুতরাং রাজবিধি দ্বারা বৈধ ধর্ম্মানুষ্ঠানের প্রতিরোধ করিলে, জন সমাজে ইহার বিরুদ্ধে অভিযোগ যুক্তিযুক্ত বলিয়া প্রতীয়মান হয়।

 বালিকা স্ত্রীগণের রক্ষার জন্য উক্ত বিল যে আশ্রয প্রদানে উদ্যত হইয়াছে, তাহা নিতান্ত অকিঞ্চিৎকর। বহুসংখ্যক ঘটনায়