পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৬৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পরিশিষ্ট।
৬৩৯

নীতিশাস্ত্রের, ধর্ম্মশাস্ত্রের, অর্থশাস্ত্রের, বা সমাজশাস্ত্রের অপেক্ষা করিত না। এমন কি, তিনি হিতৈষণাবশে যে সকল কাজ করিয়াছেন, তাহার অধিকাংশই আধুনিক সমাজতত্ত্ব মঞ্জুর করিবে না। কোন স্থানে দুঃখ দেখিলেই যেমন করিয়াই হউক তাহার প্রতীকার করিতে হইবে, একালের সমাজতত্ত্ব তাহা স্বীকার করিতে চাহে না। কিন্তু দুঃখের অস্তিত্ব দেখিলেই বিদ্যাসাগর তাহার কারণানুসন্ধানের অবসর পাইতেন না। লোকটী অভাবে পড়িয়াছে জানিবামাত্রই বিদ্যাসাগর সেই অভাবনোচন না করিয়া থাকিতে পারতেন না।”

 বিদ্যাসাগরের Patriotism সম্বন্ধে ১৩০৬ সালের ৪ঠা বৈশাখ তারিখে বঙ্গীয় সাহিত্যপরিষদের বার্ষিক অধিবেশনে সভাপতি শ্রীযুক্ত দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় যাহা বলিয়াছিলেন, তাহাই উদ্ধৃত করিয়া বর্তমান প্রবন্ধ শেষ করিব।—“দেশের হিত-সাধনকারী Philanthropist স্বতন্ত্র, আর কায়মনোবাক্যে দেশের স্বীয় মাহাত্ম্যের সমর্থনকারী Patriot স্বতন্ত্র। যিনি স্বদেশের স্বাধীনতা, গৌরব, তেজোবীর্য্য এবং মহত্ত্ব রক্ষা করিয়া মাতৃভূমির মুখ উজ্জ্বল করেন, তিনিই Patriot। তিনি যদি নেপোলিয়নের ন্যায় রুধিরস্রোতে দেশকে ভাসাইয়া দিয়া দেশের অহিত সাধন করেন, আর বলেন যে, দেশের মহত্ত্ব যদি না রহিল, তবে তাহার হিতে কাজ নাই, তথাপি তিনি Patriot। পক্ষাস্তরে যাঁহারা কাটা ছাঁটা আঁটা সাঁটা পোষাক এবং দোকান-সাজানিয়া গৃহসজ্জাতেই সভ্যতার পরাকাষ্ঠা দেখেন; স্বদেশের কিছুই দুচক্ষে দেখিতে পারেন না; ____ দেশের সর্ব্ববাদি-সম্মত বিশিষ্ট উৎকর্ষ-স্থানটীকে ____ কেবল অন্যের দেখাদেখি নাক মুখ