পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৭০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৭০
বিদ্যাসাগর।

প্রেসিডেন্সি কলেজে পরিণত হইলে ইনি সেই বৎসরই উক্ত কলেজ হইতে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালজের বি, এ, পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। গবর্ণমেণ্ট সঙ্গে সঙ্গে ইঁহাকে ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেটের পদ প্রদান করিয়া গুণগ্রাহিতার পরিচয় প্রদান করেন। অতঃপর ইনি বি, এল,পরীক্ষাতেও উত্তীর্ণ হইয়াছিলেন। অতীব দক্ষতার সহিত কার্য্য করিয়া ১৮৯১ খৃষ্টাব্দে ইনি পেন্‌সন সহ অবসর গ্রহণ করেন। ইনি “রায় বাহাদুর” ও পরে “সি. আই. ই” উপাধি লাভ করিয়াছিলেন।

 বঙ্কিমচন্দ্র যেমন অসাধারণ মেধাবী, তেমনই কর্তব্যনিষ্ঠ ছিলেন। কর্তব্যকর্ম্মের সম্পাদনে অনেক সময় ইঁহার জীবন সঙ্কটাপন্ন হইয়াছে, তথাপি ইনি তাহা হইতে কিঞ্চিন্মাত্র বিচলিত বা পশ্চাৎপদ হন নাই। একদা কোন বিষয়ের তদন্তভার অন্যের উপর না দিয়া স্বয়ং ঐ কার্য্যে গমন করেন এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত হইয়া নিজে বিপদে পতিত হন, এমন কি, প্রাণরক্ষার নিমিত্ত ইঁহাকে নক্রসমাকুল নদীতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত হইয়া নিশাষাপন করিতে হয়। কিন্তু তথাপি কর্ত্তব্য সম্পাদনের কিছুমাত্র ত্রুটী করেন নাই। চাকরী করিবার সময় এরূপ সঙ্কটে ইঁহাকে বহুবার পড়িতে হইয়াছিল। কি ধনবান্, কি নির্ধন, কি স্বদেশী, কি বিদেশী সকলের সম্বন্ধেই ইনি আইনের বিধানানুসারে তুল্যরূপ বিচারকার্য্য নির্বাহ করিতেন।

 বঙ্কিমচন্দ্র পাঠ্যাবস্থাতেই বাঙ্গালা পদ্য রচনা করিয়া মধ্যে মধ্যে প্রভাকর ও অন্যান্য পত্রে প্রকাশ করিতেন। প্রভাকর সম্পাদক সুকবি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের নিকটই ইঁহার বাঙ্গালা লেখার “হাতে খড়ি” হয়। এই সময়ে ইনি “ললিতা__স” নামক এক-