বিধবাধৰ্ম্মরক্ষা । , 《 অনুজ্ঞা দর্শন করাইতেছেন পতির অনুদেশ, মরণ,সন্ন্যাস, পাতিত ক্লীবতা, এই পাচ প্রকার আপদে অন্য পতি শাস্ত্র বিহিত । মাধবাচার্য্য পরাশরের অভিপ্রায় প্রকাশ করিলেন যে প্রসঙ্গ ক্রমে এই দ্বিতীয় বিবাহের অনুজ্ঞা কোন স্থানে দেখাইতেছেন যদি প্রসঙ্গ ক্রমে দেখান হইল তবে ইহা উদেশ্য নয় এবং -নিতান্ত প্রয়োজনীয়ও নয় যtছার উদ্দেশ না থাকে সেই প্রসঙ্গ সিদ্ধ হয়। যদি ইহার উদ্দেশ না প্লাকিল তবে ইহাকে কলি ধৰ্ম্ম কোন ক্রমেই বলা হইল না কাল ধৰ্ম্ম হইলে সমুদায় কলি ধৰ্ম্ম নিৰূপণের প্রতিজ্ঞ করাতে এই দ্বিতীয় বিবাহও প্রতিজ্ঞাত হইত এবণ প্রতিজ্ঞাত বিষয় অবশ্যই নিৰূপণের উদেশ্য হয় উদেশ্য বিষয়ে প্রসঙ্গtৎ এ তাভাস কদাচই স^লগ্ন হইতে পারে না অতএব মাধবাচার্য্যের লিখিত আভাস দ্বার। সুস্পষ্টই বোধ হইল যে পরাশর কলিভিন্ন যুগত্রয়ের ধর্গুইনষ্টে মৃতে’ ইত্যাদি বচন দ্বারা বলিয়াছেন তাহার পরে যে ব্রহ্মচৰ্য্য ও সহমরণ বলিয়াছেন এইদুইটি চতুযুগেরই ধৰ্ম্ম, যদি চতুযুগের ধৰ্ম্ম হইল এবং পুনর্বিবাহ দ্বাপর ত্ৰেত সত্য এই তিন যুগের ধৰ্ম্ম হইল তবে ঐ তিন যুগান্তর্ভাবে বিবাহ বিধায়ক বচনের সহিত ব্রহ্মচর্য্য বিধায়ক বচনের বিলক্ষণ স^অব থাকিল অতএব ভাষ্যকার অভিাস দিলেন যথ। পুনর্বিবীছমকুত্ব। ব্রহ্মচৰ্য্য ব্ৰতামৃষ্ঠানে শ্রেয়োতিশয়ং দর্শয়তি—মুতেভৰ্ত্তরি যানগরী ব্রহ্মচর্য্যে ব্যবস্থিত। সাস্থতা লভতে স্বৰ্গং যথাতে ব্ৰহ্মচারিণঃ ॥ পুনর্বিবাহ না করিয়া ব্রহ্মচৰ্য্য ব্রতের অনুষ্ঠান করাতে অধিক ফল দেখাইতেছেন, যে নারী পতির মরণ হইলে ব্রহ্মচৰ্য্য ব্ৰতধারণে ক{ল যাপন করেন তিনি দেহান্তে স্বৰ্গলাভ করেন যেমন, কুমার ব্রহ্মচারিগণ করেন । , বিদ্যাসাগর মহাশয় ব্রহ্মচৰ্য্য ও সহমরণকে, মাত্র কলিযুগের ধৰ্ম্ম বলিয়াই ঐ অভিাসকে অসংলগ্ন করিয়ছেন এরূপ হইলে অসংলগ্ন হইতেও পারে কিন্তু ইহা অতীব আশ্চর্য্যের বিষয় যে ব্ৰহ্মচৰ্য্য সহমরণ সত্য ত্রেতা দ্বাপর যুগের স্ত্রীগণের ধৰ্ম্ম নয় এই, কথা বিদ্যাসাগর মহাশয়ের বিবেচনু সিদ্ধ হইল কেবল পুনর্বিবর্ণ br
