পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করার সময় সমস্যা ছিল।

অগ্নিমন্ত্রে দীক্ষিত হয়েছেন। এই দীক্ষা দিয়েছেন ভগিনী নিবেদিতা—স্বামী বিবেকানন্দের প্রিয় শিষ্যা। গিরিজাশঙ্কর চৌধুরী এ-সম্পর্কে লিখেছেন—“ভগিনী নিবেদিতার সহিত অরবিন্দের বরোদায় যখন প্রথম সাক্ষাৎ হয়, তখন নিবেদিতা বিপ্লবী, অরবিন্দও বিপ্লবী। দুই বিপ্লবীর সাক্ষাৎ অবশ্য অপাঠ্য রোমাঞ্চকর ঘটনা। এই প্রথম সাক্ষাৎ বৃথা হয় নাই। অরবিন্দ যেদিন চন্দননগরে পলায়ন করেন, সেদিন রাত্রির অন্ধকারে বোসপাড়া লেনে, নিবেদিতার বাড়ী গিয়া পলায়নে তাঁহার সমর্থন লাভ করিয়া, শেষ সাক্ষাৎ করিয়া যান। বৈপ্লবিক মতবাদ ও কর্মক্ষেত্রে তাহার প্রয়োগ সম্বন্ধে অরবিন্দ ভগিনী নিবেদিতার নিকট যতটা এবং যেরূপ সহানুভূতি পাইয়াছেন তাহা আর কাহার নিকট হইতে— এমন কি মিঃ পি মিত্রের নিকট হইতেও পান নাই।...বৈপ্লবিক সকল দলই ভগিনী নিবেদিতার নিকট হইতে সমান সহানুভূতি ও প্রেরণা পাইয়াছে।”

 মাত্র ২২ বৎসর বয়সে বারীন্দ্র কোলকাতায় প্রথমবারের মত গুপ্ত-সমিতি গঠন করতে আসেন। কিন্তু প্রথমবারে এসে বারীন্দ্র উপলব্ধি করেন যে কোন সুসংবদ্ধ উপায়ে বৈপ্লবিক ধারাকে চালিত করবার সময় তখনও হয় নি। তাই সেবার একরকম ব্যর্থ হয়েই তিনি বরোদা ফিরে যান। এবং তারপরই পি মিত্র অনুশীলন-সমিতি গঠন করে একটা শক্তিশালী ও কার্যকরী দল গড়ে তোলেন। এর পর থেকেই সারা দেশ