পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

জুড়ে কাজ চলতে থাকে। অরবিন্দ ও বারীন্দ্র কোলকাতায় আসেন। অরবিন্দকে কেন্দ্র করে, ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায়, মনোরঞ্জন গুহঠাকুরতা, শ্যামসুন্দর চক্রবর্তী, কাব্যবিশারদ প্রভৃতি জননায়কগণ তাঁদের লেখনীর সাহায্যে কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করে তুলতে থাকেন। আর বারীন্দ্রকে কেন্দ্র করে অপেক্ষাকৃত অল্পবয়স্কদের নিয়ে কর্মী গড়ে উঠতে থাকে—উপেন বন্দ্যােপাধ্যায়, হেমচন্দ্র কানুনগো, উল্লাসকর দত্ত, ভূপেন দত্ত...। এই তরুণদের কাজ ছিল বোমা তৈরী করা ও যুগান্তর কাগজ চালানো। সকলের চেয়ে বেশী অনুপ্রেরণা পাওয়া যেত সম্ভবতঃ অসাধারণ বাগ্মী বিপিনচন্দ্র পালের বক্তৃতা ও লেখা থেকে। মধ্যভারতের বালগঙ্গাধর তিলক, উত্তরভারতের লালা লাজপৎ রায় এবং পূর্বভারতের বিপিনচন্দ্র পাল এই তিন মহারথকে বলা হত ‘লাল বাল পাল’! ওদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে গান্ধীজি তখন আন্দোলন চালাচ্ছেন। সেখানকার ভারতীয়দের শ্বেতাঙ্গ-অত্যাচারের বিরুদ্ধে সঙ্ঘবদ্ধ করে অসহযোগ আন্দোলন ও নিষ্ক্রিয় প্রতিরোধ চালাচ্ছেন। বিপিন পালও নিষ্ক্রিয় প্রতিরোধ সমর্থন করেন। তবে গান্ধীজি বিপিন পালের চেয়েও বেশী অগ্রসর। বিপিন পাল বক্তৃতা করতেন, লিখতেন আর গান্ধীজি কারাবরণ করে হাতে-কলমে দেখিয়ে দিলেন নিষ্ক্রিয়-প্রতিরোধ বলতে কি বোঝায়! বিপিন পাল একাধিকবার বলেছেন, গুপ্ত-সমিতির বিপ্লবকে তিনি কাপুরুষতার ন্যায় ঘৃণা করেন এবং গান্ধীজিও বলেছিলেন I do