পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

চন্দননগরে এসে স্থানীয় ডুপ্লে কলেজে তিনি এক বৎসর পড়েন। তারপর আবার তিনি বোম্বাই ফিরে যান এবং ১৯০৩ সাল পর্যন্ত সেখানে পড়াশোনা করেন।

 শৈশব থেকেই কানাইলালের চরিত্র কয়েকটি বৈশিষ্ট্যের জন্য সকলের প্রশংসমান দৃষ্টি আকর্ষণ করতো। শুধু ভাল ছাত্র হিসাবে নয়, ভাল ছেলে হিসাবেই তিনি অধিকতর প্রিয় হয়ে উঠেছিলো। দরিদ্র সহপাঠীদের প্রতি ভালবাসা, তাদের সঙ্গে মেলামেশা করার আন্তরিক আগ্রহ বরাবরই তাঁর মধ্যে লক্ষ্য করা গেছে এবং অতি সহজেই তিনি দরিদ্রদের আপন করে নিতে পারতেন। শুধু ছাত্র বয়সে নয়, পরবর্তী জীবনেও এটা তাঁর বজায় ছিল। দরিদ্রদের প্রতি সহজাত আকর্ষণের ফলেই বোধ হয় সকলপ্রকার বিলাসের প্রতি ঔদাসীন্য তাঁর মনকে আচ্ছন্ন করে ফেলেছিল। ছেলেবেলা থেকেই বেশ দেখা গেছে, পোষাক পরিচ্ছদ, কিংবা আহারাদি ব্যাপারে তাঁর অবারিত প্রাচুর্য থাকলেও ব্যক্তিগতভাবে তাঁর ছিল অনাগ্রহ। সকল ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অল্পে তুষ্ট—আশুতোষ, সর্বতোষ। কানাইয়ের অতি প্রিয় খাদ্য ছিল মুড়ি আর দুধ। শোনা যায় কিশোর কানাই দৈনিক আড়াই সের পর্যন্ত মহিষের দুধ খেতে পারতেন। চিরবিদায়ের দিনে মায়ের কাছ থেকে মুড়ি আর দুধ চেয়ে খেয়েছিলেন তিনি। নিজে খাওয়া-দাওয়ার প্রতি বিশেষ আগ্রহশীল না থাকলেও দরিদ্রকে খাওয়াতে তাঁর বিশেষ যত্ন ছিল। বোম্বাই স্কুলে দরিদ্র মহারাষ্ট্রীয় ছেলেদের প্রায়ই

১৫