পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

হয়েছিল। কিন্তু মতিলালকে দেখে হো হো করে হেসে উঠলেন তিনি। বললেন, ‘বুঝেছি, তুমি ছাড়া আর এ কাজ কে করবে? তারপর খবর কি?’ অতি সহজ, অতি প্রসন্ন, অতি উজ্জ্বল কানাইলালের মুখ। মতিলাল আনন্দে ও বিস্ময়ে বিহ্বল হয়ে গেলেন। কানাইলালের দৃঢ়বদ্ধ ওষ্ঠে কি অব্যক্ত প্রতিজ্ঞা যেন জ্বল জ্বল করছে। মতিলাল যেন সম্ভ্রমে মাথা হেঁট করলেন। হঠাৎ এক দমকা বাতাসে কানাইলালের কালো চাদরখানা সরে গেল। দেখা গেল কোমরে একখানা খুব বড় ছুরি ঝকঝক করছে। কিছুক্ষণের জন্য মতিলাল অভিভূত হয়ে রইলেন— বাঙ্গালীর এক অপূর্বরূপ দেখছেন তিনি! যে বাঙ্গালী ভীরু বলে সর্বত্র বিদিত। তারপর অনেকক্ষণ ধরে তাঁদের আলোচনা হল। কানাইলাল ভবিষ্যৎ কর্মপথ সম্বন্ধে অনেক কিছু বললেন। তারপর তাঁরা দুদিকে চলে গেলেন। কানাইলাল একদিকে এবং মতিলাল ও তাঁর বন্ধু একদিকে। পথে খস্ খস্ আওয়াজ পেয়ে মতিলাল একবার পিছন ফিরে তাকালেন। দেখলেন অদূরে ভাঙ্গা মন্দির থেকে আরও দুজন বেরিয়ে এসে কানাইলালের সঙ্গে মিলিত হল। আশার বিদ্যুৎ চমকে উঠল মতিলালের বুক জুড়ে। কানাইলাল সত্যি সত্যিই নাম লিখিয়েছে!

 জামালপুরে মুসলমানরা হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করবার পর ঠিক হয় একদল বিপ্লবী ছেলে বোমা নিয়ে সেখানে যাবে এবং বোমা মেরে মুসলমানদের পাড়া উড়িয়ে দেবে। আগেই

২৯