পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

বলেছি যে তখনকার যুগে জাতীয়তাবাদ ও ধর্ম একত্র জড়ানো ছিল (এখনও কি তাই হয়ে পড়ছে?)। তাছাড়া বিপ্লবীরা নিজেদের এতই ন্যায়বান মনে করতো, যে তাদের ধারণা হত যারা অত্যাচারী তারা যেই হোক তাদের শাস্তি বিধান করতে হবে। যাই হোক, কানাইলাল মনস্থ করেন এই দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। কিন্তু এই দল জামালপুরে পৌঁছবার আগেই পুলিসের হাতে সন্দেহজনক ভাবে ধরা পড়ে যায়। কাজেই, কানাইলালের ইচ্ছ। আর পূর্ণ হয় না।

 ঠিকমত বারীন্দ্রের গুপ্ত সমিতির সঙ্গে যোগ দেন তিনি বি, এ, পরীক্ষা দেবার পর। কিন্তু তার আগেই চন্দননগরে বসে তাঁর কাজ আরম্ভ হয়ে গিয়েছিল। ছোটবেলা থেকেই কানাইলালের সংগঠনের ক্ষমতা অসীম। এবং অতি সহজেই তিনি লোকের প্রিয় হয়ে উঠতেন। কাজেই তাঁর পক্ষে ছোট ছোট দল বা আখড়া গড়ে তোলা বিশেষ কষ্টকর ব্যাপার নয়। শোনা যায় বারীন্দ্রের কার্যকলাপের প্রথম যুগে ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায় একটা সমিতি গড়ে তোলবার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁর ধারণা ছিল ইংরেজ রাজত্বের বাইরে যদি একটা আস্তানা করা যায় তাহলে কাজের সুবিধা হবে, তাই তিনি চন্দননগরে সমিতি স্থাপনের চেষ্টা করেন। বারীন্দ্রের সমিতি বোমা তৈরী করার কারখানা আর ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায়ের সমিতি—‘সারস্বত আয়তন’ জাতীয় ভাবধারায় আদর্শ যুবক গঠনের কেন্দ্র। ব্রহ্মবান্ধবের সমিতি লোকের মন আকর্ষণ করে নি, বারীন্দ্রের

৩০