পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

খড়্গপুর থেকে শ্রীমান বিভূতিকে খড়্গপুরের প্রায় দশ কি মাইল দূরে নারায়ণগড় থানার অন্তর্গত একটা নির্জন স্থ রেল লাইনের তলায় কয়েক পাউণ্ড ডিনামাইট পুঁতে দিয়ে আসতে পাঠিয়েছিল।’

 ফ্রেজার সাহেবের গাড়ী উড়িয়ে দেবায় চেষ্টা হয় ৬ই ডিসেম্বর ১৯০৭ সাল। তার ঠিক ১৭ দিন পর ২৩শে ডিসেম্বর ঢাকার ম্যাজিষ্ট্রেট মিঃ অ্যালেনকে গোয়ালন্দ ষ্টেশনে বিপ্লবীর দল গুলী করে গুরুতর জখম করে। এই কাজ যে কে বা কারা করেছিল জানা নেই। বারীন্দ্র নিজে বলেছেন তাঁর দল এ কাজ করে নি। অবশ্য দলের অনেকেই নিজের নামে এটা চালিয়ে দিত। তবে বারীন্দ্রের দল ছাড়া অন্য কারও দ্বারাই সম্ভবত এ কাজ হয়েছিল। হেমচন্দ্র লিখছেন—‘কলকাতায় বিপ্লববাদীরা অনেক ছোট ছোট দলে ভাগাভাগি হয়ে গেছে। তার মধ্যে চার পাঁচটা দল প্রধান ছিল।’ অবশ্য হেমচন্দ্র সঙ্গে সঙ্গে এ কথাও লিখেছেন—‘...কলকাতায় যতগুলি বৈপ্লবীক দল ছিল, তাদের মতে একমাত্র বারীণই, ভালই হোক আর মন্দই হোক, বিশেষ কিছু বৈপ্লবিক কায করবার চেষ্টা কচ্ছিল।’

 অ্যালেন সাহেবকে গুলী করবার পর কুষ্টিয়ায় পাদরী হিকেন বোথানের ওপর গুলি চলল। সারা দেশ বিস্ময়ে স্তম্ভিত হয়ে গেল। বাঙ্গালী জাত এ কি আগুন খেলায় মেতে উঠেছে! প্রত্যেক সমিতিতে সভ্যদের মধ্যে এক আলোচনা এক চিন্তা। কে কি করবে, কোন পথে যাবে তাই নিয়ে

৫০