পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করার সময় সমস্যা ছিল।

রক্ত-কর্দমে ডুবে—আসন্ন দুর্ভিক্ষের করালছায়া-সমাকীর্ণ... আকাশের নীচে একবার সেই রূপকথার রোমাঞ্চকে স্মরণ খ্যাত অখ্যাত যারা নিঃশেষে আপনাকে উৎসর্গ করে যাদের মধ্যে অনেকে আজও অবজ্ঞাত হয়ে পড়ে আমাদের চারপাশে তাদের এই যুগসন্ধিক্ষণে একবার করি। মীর্জাফর আর উমি চাঁদের কলঙ্ককে যারা বুে দিয়ে চিরতরে মুছে ফেলবার প্রথমসঙ্কল্প গ্রহণ করেছিল এদের স্মরণ করি। স্মরণ করি রক্তাক্ষরে লিখিত বাঙ্গলার অগ্নিযুগের ইতিহাসকে। আগামী দিনের পৃথিবীতে যে ইতিহাস হবে সেরা রূপকথা। প্রাদেশিকতা স্বীকার না করলেও এ কথা অনস্বীকার্য যে ভারতের স্বাধীনতা-আন্দোলনের সূত্রপাত এই বাঙ্গলাদেশে— বঙ্কিমচন্দ্রের প্রতিমা, বিবেকানন্দের ধ্যান ও রবীন্দ্রনাথের তীর্থ— বাঙ্গালীর মাতৃভূমি এই বাঙ্গলাদেশে। ১৯০৫ সালে লড় কার্জন প্রস্তাবিত বঙ্গ-ভঙ্গ ব্যবস্থার প্রতিবাদকল্পে স্বদেশী যুগের শুরু। এই আন্দোলনের উদ্যোক্তা অরবিন্দ ও বারীন্দ্র ঘোষ, প্রধান নায়ক রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ, ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায় ও .বিপিনচন্দ্র পাল। অনুপ্রেরণার উৎস—‘বন্দেমাতরম্' ‘কর্মযোগী,’ ‘সন্ধ্যা’ ‘নবশক্তি’, ‘যুগান্তর' প্রভৃতি পত্রিকা। এই সব পত্রিকা ছাড়া কতগুলি বিশেষ বিশেষ বই তখন যুবকদের মধ্যে বহুল প্রচলিত। যেমন,—‘মুক্তি কোন পথে?’ ‘বর্তমান রণ-নীতি,’ ‘কাঃ পন্থাঃ,' বিবেকানন্দের ‘কর্মযোগ’ প্রভৃতি। C 2