পাতা:বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র - প্রফুল্লরঞ্জন রায় - শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০৮
বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র

বিদ্যমান থাকিবার এবং বাহিরে শিল্পবাণিজ্যের প্রসার হইবার ফলে, এই দেশের পুরাতন শিল্পবাণিজ্য-পদ্ধতি ব্যর্থ হইয়া গিয়াছে। উহার স্থলে নূতন পদ্ধতি গ্রহণ প্রয়োজন। আধুনিক ফ্যাক্টরীসমূহের প্রতিযোগিতা বিরাজমান থাকা সত্বেও কোন্ কোন্ কুটীর-শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করা হইবে এবং ব্যাপকভাবে উৎপাদনের নিমিত্ত কোন্ কোন্ ক্ষেত্রে উৎসাহ প্রদান করা হইবে, পুনর্গঠন কমিশন তাহা নির্দ্ধারণ করিবেন। এই কমিশনের সুপারিশক্রমে রাষ্ট্রকে আমাদের কৃষি ও শিল্প ব্যবস্থাকে উৎপাদন ও ব্যবহারের উভয়ক্ষেত্রেই সমাজতান্ত্রিক নীতি অনুযায়ী পুনর্গঠিত করিতে হইবে। যেই প্রকারেই হউক, অর্থ সংগ্রহ করিয়া এই কার্য্যে অতিরিক্ত মূলধন নিয়োজিত করিতে হইবে।

 কংগ্রেস মন্ত্রিমণ্ডলী—ভারতের এগারটি প্রদেশের মধ্যে সাতটি প্রদেশে কংগ্রেস মন্ত্রিত্বভার গ্রহণ করিয়ছেন। অতএব নূতন শাসনতন্ত্রের প্রাদেশিক অংশে বিরোধিতার সম্ভাবনা নাই। ইহার ফলে কংগ্রেসকে কেবলমাত্র সঙ্ঘবদ্ধ ও শক্তিশালী করা যাইতে পারে। কংগ্রেসী মন্ত্রিমণ্ডলের আমলে কিরূপে কংগ্রেসকে শক্তিশালী করা সম্ভব? সর্ব্বপ্রথম আমলাতান্ত্রিক শাসন-ব্যবস্থার আমূল পরিবর্ত্তন সাধন করিতে হইবে; ইহা অসম্ভব হইলে কংগ্রেসের পক্ষে দুঃখের কারণ হইতে পারে। দ্বিতীয়ত, কংগ্রেসী মন্ত্রিগণ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মাদক দ্রব্য বর্জ্জন, কারা-সংস্কার, সেচ-শিল্পবাণিজ্য-ভূমি ব্যবস্থার সংস্কার, শ্রমিক ও কৃষিমঙ্গল প্রভৃতি বিষয়ে জাতিগঠনমূলক পন্থা অবলম্বন করিবেন। এই সমস্ত বিষয়ে ভারতের সর্ব্বত্র অনুরূপ ব্যবস্থা প্রবর্ত্তন সঙ্গত। দুইটি উপায়ে এই ঐক্য-ব্যবস্থা বাস্তবে পরিণত হইতে পারে। প্রথমতঃ, বিভিন্ন প্রদেশের কংগ্রেসী মন্ত্রিগণ সম্মিলিত হইয়া একটি সমভাবাপন্ন কর্ম্মপন্থা নিদ্ধারণ করিতে পারেন; দ্বিতীয়তঃ, বিশেষজ্ঞগণের পরামর্শানুসারে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি বিভিন্ন সরকারের বিভিন্ন বিভাগকে সাহায্য করিতে