পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৩৯).pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գo दिक्षि প্ৰবন্ধ t মারাত্মক নহে। দ্রৌপদীর পঞ্চ স্বামী হওয়ার পক্ষে আমরা উপরে যে আপত্তি দেখাইয়াছি उांशी ऊ८°श्कोठूऊ ट्प्नक ९४:क्रङद्र । এখন, যদি দ্ৰৌপদীর পঞ্চবিবাহ কবিরই কল্পনা বিবেচনা করা যায়, তবে কবি কি অভিপ্ৰায়ে এমন বিস্ময়করী কল্পনার অনুবত্তী হইলেন ? বিশেষ কোন গুঢ় অভিপ্ৰায় না থাকিলে এমন কুটিল পথে যাইবেন কেন। তঁহার অভিপ্ৰায় কি ? পাঠক যদি ইংরেজfof AG (Sin “Tut! clearcase of polyandry!" GT MI FSF 1 Qlz তা যদি না বলেন, তবে ইহার নুিগৃঢ় তত্ত্ব অনুসন্ধান করিতে হইবে। সেই তত্ত্ব অনুসন্ধান করিবার আগে কোন বিজ্ঞ ও শ্রদ্ধাস্পদ লোকের একটি উক্তি আমি উদ্ধত করিব। কথাটা প্রচারে প্রকাশিত “কৃষ্ণচরিত্রকে” লক্ষ্য করিয়া উক্ত হইয়াছে • “শ্ৰীকৃষ্ণ মৰ্ত্ত্য শরীর ধারণ পূর্বক ইহলোকে বিচরণ করিয়াছিলেন, এ কথা আমরাও স্বীকার করি। কিন্তু মহাভারত প্রণয়নের পূর্বকাল হইতেও যে, শ্ৰীকৃষ্ণে একটি অতিমানুষ ঐশী শক্তির আবির্ভাব লোকের বিশ্বাসিত হইয়াছিল, তাহাও প্ৰামাণিক বলিয়া বোধ হয়। সুতরাং প্রথম হইতেই মহাভারত গ্রন্থেও যে সেই বোধের একটি অপূর্ব প্ৰতিবিম্ব পড়িবে, তাহা আশ্চর্য্যের বিষয় নহে ; বস্তুতঃ তাহাই সম্ভবপর। তবে আমাদের বােধ হয়, মহাভারতরচয়িতা কৰ্ম্মকাণ্ড বেদব্যাখ্যা প্ৰভৃতি তাহার বহুবিধ উদ্দেশ্যের মধ্যে অৰ্জ্জুন এবং ভদ্রাকে আদর্শ নর-নারী করিয়া বর্ণনা করিয়াছেন, এবং ঈশ্বরে অচল ভক্তি এবং তজ্জাত ঈশ্বরের নেতৃত্বে প্ৰতীতিই যে আদর্শ পুরুষের প্রকৃত বল, তাহাও প্রদর্শনার্থ নরোত্তম শ্ৰীকৃষ্ণে একটি বিশেষ ঐশী শক্তিকে মূৰ্ত্তিমতী করিয়া দেখাইবার প্রয়াস পাইয়াছেন। সে ঐশী শক্তিটি কোন পার্থিব পাত্রে কোন দেশের কোন কবি কর্তৃকই কখন ধূত হয় নাই। আদি কবি বাল্মীকিও তাহ ধরিবার চেষ্টা করেন নাই-মহাভারতকার সেই কাজে অধ্যবসায় করিয়াছিলেন, এবং তাহা যত দূর সম্পন্ন হইতে পারে, তত দূর সম্পন্ন করিয়াছিলেন বলিয়াই, মহাভারত গ্ৰন্থখানি পঞ্চম বেদ বলিয়া গণ্য হইয়াছে। ঐ ঐশী শক্তির নাম ‘নির্লিপ্ততা' । শ্ৰীকৃষ্ণ মনুষ্যরূপী ‘নির্লেপ” ” * ০ এই “নিলেপ” বৈরাগ্য নহে অথবা সাধারণে যাহাকে “বৈরাগ্য” বলে, তাহা নহে । আমি ইহার মৰ্ম্ম যতদূর বুঝি, গীতা হইতে একটি শ্লোক উদ্ধত করিয়া তাহা यूपाशेउंशि ।

  • এডুকেশন গেজেট, ১৮ বৈশাখ ১২৯৩৷৷