পাতা:বিবিধ কথা.djvu/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

`\ෂෂ বিবিধ কথা * অতিশয় অপরোক্ষভাবে ইহাকে অনুভব করিয়াছেন, এবং সেই অনুভূতির মধ্যে, যেন তাহারও অজ্ঞাতসারে, ইহার প্রতি এক স্থগভীর মমত্ব ফুটিয়া উঠিয়াছে। শরৎ-সাহিত্যের যাহা উৎকৃষ্ট অংশ, যাহা খাটি স্বষ্টিধৰ্ম্মী, তাহ একটা বিশেষ যুগের বিশেষ কালচারের প্রেরণা হইতেই জন্মলাভ করিয়াছে, তাহার দৃষ্টি সেই কালচারেরই ফল । আধুনিক সভ্যতা ও আধুনিক শিক্ষার আঘাতে এই কালচারেরই একটা আত্মিক শক্তি র্তাহার স্বই নরনারীর চরিত্র ভাস্বর করিয়া তুলিয়াছে। তাহার উপন্যাসে যে সকল সমস্তার আবির্ভাব দেখা যায়, সমস্তাহিসাবে আধুনিক চিন্তার ক্ষেত্রে তাহাদের মূল্য স্বতন্ত্র। এই সকল সমস্যার দ্বারা সেই প্রাচীন প্রাণ-মনের তলদেশ যে ভাবে আলোড়িত হইয়াছে—প্রতিক্রিয়ার মুখে তাহার যে শক্তি ও সম্পদ প্রকাশ পাইয়াছে, শরৎচন্দ্র তাহারই আরতি করিয়াছেন । ইহাই সে সাহিত্যের রস । যাহারা সে রসের রসিক নহেন, এবং যাহারা বাঙালী-জীবনের সেই ভাবধারা হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়াছেন, তাহার এই একান্ত বাঙালী-প্রাণ ও বাঙালী-প্রতিভার গৌরব নিৰ্দ্ধারণ করেন বিদেশী সংস্কার ও বিদেশী চিন্তাপদ্ধতির আদর্শে। তাহারা ভুলিয়া যান যে, যাহাকে প্রাচীন সংস্কারের মোহ ও দুৰ্ব্বলতা বলিয়া তাহারা নাসাকুঞ্চিত করেন, শরৎচন্দ্রের অধিকাংশ নায়ক-নায়িকার চরিত্র-মহিমার মূলে আছে সেই সংস্কারের দুল্ল জ্য শাসন। সকল জাতির মানুষের পক্ষেই সামাজিক বা নৈতিক সমস্তার একটা সাধারণ রূপ আছে ; কিন্তু চিন্তা বা জ্ঞানের দিক দিয়া যাহা সাৰ্ব্বভৌমিক, প্রাণের দিক দিয়া তাহা এক নহে। এই প্রাণের দিকই সাহিত্যের দিক, শরৎচন্দ্রের উপন্যাসের নরনারী সমস্তাপীড়িত আস্তর্জাতিক নরনারী নয় ; তাহা যদি হয়, তবে তিনি সাহিত্য