পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (দ্বিতীয় খণ্ড) - গিরীন্দ্রকুমার সেন.pdf/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SVV) বিবিধ প্ৰবন্ধ। অনুপাতে অধিক লোক-বৃদ্ধি না হইতে দেওয়া হয়, তাহা হইলে দেশে সুখস্বচ্ছন্দতা বিরাজ করে। পরিশ্রমে ধনাগম । এ জগতে কি বাস্তব কি অবাস্তব যে কোন ধনেব অধিকারীকেই পরিশ্রমের সাহায্য লইতে হইয়াছে। আমরা চারিদিকে যে সকল উৎপন্ন ও প্ৰস্তুত সামগ্ৰীসমষ্টি দেখিতে পাই, তৎসমস্তই পরিশ্রম ও কৰ্ম্মফল বুদ্ধিপরম্পরার ফল ব্যতীত আর কিছুই নহে ; এবং সেই অবাস্তব অমূল্য ধন, যাহা চোরে লাইতে পারে না এবং যাহার অধিকারী হইয়া” পণ্ডিতমণ্ডলী জগতের জ্ঞান-ভাণ্ডার পরিপূর্ণ করিয়া মানবজাতিকে অমিয় সুখের সুধাস্বাদ লাভ করিতে উন্নতিপথ উন্মুক্ত করিতেছেন, তাহাও অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল । দাসু্য তস্কর ব্যতীত কেবল আলস্যে দিনাতিপাত করিয়া কেহই বাস্তব ধন সামগ্ৰী ভোগ করিতে সমর্থ হন নাই এবং পরিশ্রম না করিয়া কেবল প্ৰতিভাগুণেই কেহ অসাধারণ বিদ্যাবুদ্ধি লাভ করিতে পারেন নাই । অনেকে হয়ত বলিবেন যে ধন্যবানের পুত্ৰ বিনা পরিশ্রমে নানাবিধ ধনসামগ্ৰী ভোগ করে, কিন্তু সে ব্যক্তি যে সকল সামগ্ৰী ভোগ করিয়া থাকে, তাহা কখনই বিনা পরিশ্রমে আদৌ লাভ করা হয় নাই। অবাস্তব অমূল্য ধনের কথা কিন্তু স্বতন্ত্র । পণ্ডিতের পুত্ৰ হইলেও বিনা পরিশ্রমে পিতার বিদ্যা-ধনের অধিকারী হইতে পারে না । অতএব বাস্তব ও অবাস্তব সামগ্রীর অধিকারী হইতে হইলে পরিশ্রম দ্বারা যে কিরূপ সহায়তা পাওয়া যায়, তাহাই এই প্ৰবন্ধের আলোচ্য বিষয় বুঝিতে হইবে । আমাদের দেশের কেন, বোধ হয় সকল দেশের যুবকদের এইটা বিশিষ্ট ধারণা যে প্ৰতিভা ও পরিশ্রম বিপরীত-ভাবাপন্ন এবং গর্দভের