পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (দ্বিতীয় খণ্ড) - গিরীন্দ্রকুমার সেন.pdf/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশ্রমে ধনাগম । 鬼 SVUS হইতে আনীত যে সমস্ত নিত্য প্রয়োজনীয় সখের দ্রব্য সামগ্রীর সমাবেশ দেখিতে পাই, তৎসমস্তই ভূগর্ভজাত এবং পরে মূলধন ও পরিশ্রমের সাহায্যে নানা প্রকারে প্রস্তুত ও রূপান্তরিত হইয়া অভাব মোচনের সামগ্ৰী বলিয়া মূল্যবানরূপে বিবেচিত হয়। অনেকের ধারণা যে আদিম জাতির আভাবও ছিল না এবং সেই নিমিত্ত মূলধন ও পরিশ্রমের আবশ্যকতাও ছিলনা । কিন্তু আমরা বলি তাহার প্রাত্যহিক আহারের নিশ্চিততা ছিল না এবং সেইজন্য তাহাকে বনে বিচরণশীল প্ৰতিযোগী পশুর সহিত সংগ্ৰাম করিতেও পরিশ্রম করিতে হইয়াছে । ভূমি পরিশ্রম ও মূলধন বাস্তব ধনোৎপাদনে সহায়তা করে ; কিন্তু আদিম জাতির ভূমি ও মূলধন (স্বচ্ছন্দজাত ফলমূল, তীর ধনু ইত্যাদি) প্ৰকৃতি প্ৰদত্ত ছিল বলিয়াই কেবল পরিশ্রমের সাহায্যে আয়াসলব্ধ অপ্রচুর প্রয়োজনীয় সামগ্রীর অধিকারী হইতে পারিয়াছে। অরণ্যে ফলমূল আহরণ করিয়া জীবন ধারণ করিতে করিতে পরিশ্রমের সাহায্যে জীব জন্তু ও নদীর মৎস্য ধরিবার উপায় করা হইয়াছে । ধুত জীবগুলির সকল গুলিকে আহারের নিমিত্ত বন্ধ না করিয়া এবং ফলমূল খাইয়া ইহাদের কতকগুলিকে প্ৰতিপালন করিয়া, মৎস্য গুলিকে শুষ্ক করিয়া, প্ৰতিপালিত পশুদের বৃদ্ধির সহিত স্বয়ত দুগ্ধ নবনীত, উর্ণাজাত বসু, মাংস ইত্যাদির দ্বারা প্রাত্যহিক আহারের সংস্থান করিয়া, এবং পশুগুলির সাহায্যে ভূমি কর্ষণ করিয়া। আদি মানব আজি কালিকার সভ্যোর মধ্যে গণ্য হইয়াছেন । ভবিষ্যত্যের নিত্য আতারের সংস্থান করিয়া ও পশুর সাহায্য পাইয়া বনবিহারী মনুষ্য নানাবিধ উপায়ে পরিশ্রমের সাহায্যে ধনোৎপাদনা করিতে পারিয়াছে । অতএব এখনকার, ও পরবত্তী বাস্তব ধনের অধিকারীকে অবশ্যই পরিশ্রম করিতে হইয়াছে, হইতেছে ও হইবে । এখন কিন্তু ভূমির খাজনা হইয়াছে,