পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (দ্বিতীয় খণ্ড) - গিরীন্দ্রকুমার সেন.pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাণিজ্য । S8) হয় অর্থাৎ এরূপ কোন গুণযুক্ত হয় যে শ্রমনিয়োগকারী কর্তৃক প্রদত্ত হইলেই তাহাকে গ্ৰহীতার পরিশ্রমলব্ধ সামগ্ৰী পাইবার অধিকার প্ৰদান করে । যখন স্বচ্ছন্দজাত সামগ্রীতে পরিশ্রম নিয়োগ করিলেই ধনাগম হয় তখন উৎপন্ন ও প্ৰস্তুত সামগ্রীতে পারিশ্রম নিয়োগ করিয়া রূপান্তরিত করিলে যে ধনাগম হইবে, তাহ আর বিচিত্ৰ নহে । বাণিজ্য । বাণিজ্য বলিলে বণিকের রুক্তি বুঝায়। বৈশ্যদের মধ্যে কেহ কৃষি, কেহ পশুপালন ও কেহ বাণিজ্য করিত । বাণিজ্য জাতিগত বিদ্যার অন্তর্গত ছিল বলিয়া পিতার নিকট পুত্রের শিক্ষালাভ হইত। এখনও দেখিতে পাওয়া যায় বণিকের পুত্ৰই বণিকের কৰ্ম্মে অনেকাংশে সফলকাম হয়েন । অতএব বাণিজ্য কাৰ্য্য যে শিক্ষাসাপেক্ষ সে বিষয়ে কোনই সন্দেহ থাকিতে পারে না । কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় আমাদের বঙ্গদেশের অনেকেরই ধারণা যে কেবল মূলধন থাকিলেই ব্যবসায় কাৰ্য্য নিবিবান্ত্রে পরিচালিত হইতে পারে এবং শিক্ষার বিশেষ কোন আবশ্যকতা নাই । তঁহার একবার ও ভাবেন না যে বাজার-সন্ত্রমই বণিকের মূলধনের দশ গুণ অধিক কাৰ্য্যকারী এবং-বাজার সন্ত্রম লাভ করিতে ও ব্যবসায় বুদ্ধির বিস্তার সাধন করিতে বণিকের নিকট শিক্ষা নবিশী করা অথবা বাণিজ্য-বিদ্যালয়ে শিক্ষালাভ করা একান্তই অবশ্যক । এখনকার মত রেল খাল রাস্তার বিস্তার না থাকিলেও পূৰ্ব্বেকার ও এখনকার বণিকের কার্য্যে মূলে বিশেয বিভিন্নত দৃষ্ট হয় না ।