পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (দ্বিতীয় খণ্ড) - গিরীন্দ্রকুমার সেন.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 e বিবিধ প্রবন্ধ । অধিক। পাঠশালার নাম মাত্র দুই একটী বালক ব্যতীত, প্ৰতিভাবান বালকের সংসৰ্গলাভ করা অধিকাংশ বালকদের একটী মহান উদ্দেশ্য বলিয়া প্ৰতীয়মান হয় । ক্রমে তাহদের সহিত মিশামিশি করিতে করিতে তাহদের গুণাবলী গ্ৰহণ করিতে অসমর্থ বালকেরা তাহাদের দোষ গ্ৰহণ করিতেও কুষ্ঠিত হয় না। এই সময়ে বিদ্যালাভে অপটুকে যদি কেহ বলিয়া দেন যে “তোমার চরিত্র ভাল আছে, এখন হইতে সাবধান । তোমার যে গুণ আছে তাহা অনেকের নাই” তাহা হইলে সে কতকটা আশ্বস্ত হয়। কিন্তু সমাজ নির্দিষ্ট বিদ্যালাভে তাহার পশ্চাৎপুতাই তাহার জীবনের কলঙ্ক বলিয়া প্রচার করায় তাহাকে ক্রমিক হতাশ করে । কে জানে ব্যবসায় ক্ষেত্রে চরিত্র-গুণে, অধ্যবসায়ে পরিশ্রম গুণে, প্ৰতিজ্ঞাপালনে সত্যবাদিতায় এবং বাজারসম্রাম-বৰ্দ্ধনে সে একদিন কত বড় হইবে ? যেমন “সর্বদোষ হরে গোরা” কথাটী আমাদের মেয়েদের মুখে শুনা যায়, সেইরূপ আমরাও মনে করি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাধি ও ধন বুঝি সৰ্ব্বদোষ হরণ করে । “অল্প বয়সে মিল সহজ, কেন না। অল্পবয়সে মানুষের স্বাভাবিক প্ৰভেদ গুলি কড়া হইয়া উঠে না । যত বয়স হইতে থাকে, আমাদের প্ৰত্যেকের সীমানা ততই নিদিষ্ট হইতে থাকে। ঈশ্বর প্রত্যেক মানুষকে যে একটী পার্থক্যের অধিকার দিয়াছেন, তাহা উত্তরোত্তর পাকা হইতে থাকে। ছেলেবেলায় যে সকল প্রভেদ অনায়াসে উল্লঙ্ঘন করিতে পারা যায়, বড় বয়সে তাহা 2इ युग्न क्रा ! কিন্তু এই পার্থক্য জিনিষটা যে কেবল পরস্পরকে প্ৰতিরোধ করিাবার জন্য, তাহা নহে, ইহা ধাতুপাত্রের মত। ইহার সীমাবদ্ধতা দ্বারাই আমরা যাহা পাই, তাহাই গ্ৰহণ করি, তাহা আপনার করি, তাহা রক্ষা করি। ইহার কাঠিন্য দ্বারা আমরা যাহা পাই, তাহাই ধারণ