WObw বিবিধ প্রন্ধব । সমাজে উন্নতি বা অবনতিসাধন হইতেছে, কস্মিনকালেও তদৰ্থ অপর:কোন শক্তির প্রয়োজন হয় নাই । এখনও যে সকল কারণের কার্য্যকারিতা দৃষ্ট হইতেছে, সকল সময়েই সেইরূপ কারণেরই কাৰ্য্য হইয়া আসিয়াছে । 、 যুগভেদের পর্য্যায়ক্রম। প্রাচীনদিগের মতে পৃথিবীতে চারিট যুগ হইয়াছে এবং সেই সকল যুগভেদ সমস্ত পৃথিবীতে একট নির্দিষ্ট সময়ে ঘটিয়াছে। র্তাহাদিগের মতে প্রথম যুগটা অতি উৎকৃষ্ট—উহা সুবর্ণকাল । ঐ সময়ে নরগণ স্বর্ণপাত্রে ভোজনাদি করিত। তাহার পরে রজতযুগ। ঐ সময়ে রৌপ্য পাত্রাদির ব্যবহার। তদনন্তর তাম্রযুগ-ভাস্ত্ৰপাত্রাদির বহুল প্রচার। সৰ্ব্বশেষে লৌহযুগ এবং লৌহবিনিৰ্ম্মিত পাত্রাদির প্রচলন । - নব্য পণ্ডিতবর্গের অনুসন্ধানের দ্বারা আবিষ্কৃত হইয়াছে যে, পৃথিবীর ভিন্ন ভিন্ন স্থলে এবং ভিন্ন ভিন্ন সময়ে নরগণ বিভিন্নরূপ উপাদানের দ্বারা আপনাদিগের প্রয়োজনীয় যন্ত্র এবং অস্ত্রশস্ত্রাদির নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিল। পৃথিবীর যে সকল অতি নিম্নবৰ্ত্তী স্তরে মঙ্গুষ্যের কঙ্কাল, আবাস-গর্ত, যন্ত্র ও অস্ত্রাদি প্রাপ্ত হওয়া গিয়াছে—সৰ্ব্বত্রই দৃষ্ট হইয়াছে যে, ঐ সকল যন্ত্র এবং অস্ত্রাদির অধিকাংশই প্রস্তর দ্বারা নিৰ্ম্মিত। এই জন্ত সেই আদিম সময়কে প্রস্তরযুগ নামে অভিহিত করা হইয়াছে । নব্য পণ্ডিতের ইহাও দেখিয়াছেন যে ঐ প্রস্তরযুগ পুথিবীর সর্বত্র এক সময়ে প্রবৃত্ত হয় নাই। কোন কোন স্থানে, ( যথা ফিজি দ্বীপবাসীদিগের মধ্যে এবং ভারতবর্ষেরও দুই একটী পাৰ্ব্বতীয় প্রদেশে) ঐ যুগ অদ্যাপি বিদ্যমান রহিয়াছে। অর্থাৎ ঐ সকল স্থানের লোকেরা এখনও প্রস্তরবিনিৰ্ম্মিত অস্ত্রাদির বহুল ব্যবহার করে – কোন প্রকার ধাতব দ্রব্য হইতে অস্ত্র বা যন্ত্রাদির নিৰ্ম্মাণ করিতে জানে না । প্রস্তরবিনিৰ্ম্মিত অস্থাদির মধ্যেও একটী বিশেষ প্রভেদ লক্ষিত হয়। যে গুলি সৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক প্রাচীন, তাহ প্রস্তর ভাঙ্গিয়া বা চিরিয়া নিৰ্ম্মিত । যেগুলি অপেক্ষাকৃত আধুনিক সেগুলি ঘর্ষণের দ্বারা সুপরিস্কৃত। প্রস্তরনিৰ্ম্মিত অস্ত্রাদিতে এই প্রভেদ নিরীক্ষণ করিয়া পণ্ডিতেরা প্রস্তরযুগটকে দুইটি বিভিন্ন অংশে বিভক্ত করেন। তাহার একটার নাম উৰ্দ্ধতন-প্রস্তরযুগ, অপরটর নাম অধস্তন প্রস্তরযুগ । ঐ উভয় যুগেই কাষ্ঠ, শৃঙ্গ এবং অস্থি হইতেও অস্ত্রশস্ত্রাদি
পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৪৬
অবয়ব