পাতা:বিবিধ বিধান - অঘোরনাথ অধিকারী.pdf/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিশুশিক্ষাবিষয়ক । RSS শেষ অংশ পাঠ কর।) অথবা কোন সরল উপকথা বলিয়া, তাহাই উপলক্ষ করিয়া সঙ্গীত রচনা করিতে হইবে । (২) যাহাতে গীতটীি বালকেরা মোটামুটী রকমে বুঝিতে পারে সেরূপ ভাবে তাহাদিগকে বুঝাইয়া দিতে হইবে । বালকগণের বয়স বিবেচনায় ভঙ্গী-সঙ্গীতের ভাব, ছন্দ ও পরিমাণ নিৰ্দ্ধারণ করিবে । ছোট ছোট শিশুগণের পক্ষে সহজ ভাব, সরলা ছনদ ও স্বল্প পরিমাণ বিধেয় । (৩) সঙ্গীত গুলি ছড়ার আকারে হইলেই চলিবে-পদ্যের নিয়মানুসারে অক্ষর গণনাদির বিশেষ প্ৰয়োজন নাই । (৪) এই সঙ্গীত গুলি কবিতার মত আবৃত্তি করিলেই চলিবে । তবে পারিলে একটু সরল সুর সংযোগ করা মন্দ নয় ; শিক্ষক প্রথমে সঙ্গীতটি খুব সহজ সুরে গান করিয়া শুনাইবেন ও গানের বা আবৃত্তির সঙ্গে সঙ্গে সুসঙ্গত ভঙ্গী প্ৰদৰ্শন করিবেন । বালকগণ নিবিষ্টচিত্তে শিক্ষকের অনুকরণ করিবে । (৫), সঙ্গীতটির সমস্ত অংশ একেবারে শিখাইতে চেষ্টা করিবেন। না । প্ৰথম অংশ উত্তমরূপে অভ্যস্থ হইলে, দ্বিতীয় অংশ, দ্বিতীয় অংশ হইলে তৃতীয় ইত্যাদি। (৬) বা হাতে সকল বালকের সমান সুর ও ভঙ্গী হয়, ও যাহাতে সকল বালক এক সঙ্গে একরূপে অঙ্গভঙ্গী প্ৰদৰ্শন করিতে পারে, সে বিষয়েই প্ৰধান লক্ষ্য রাখিতে হইবে । t (৭) ভাব-ভঙ্গী সমূহ যাহাতে বালকগণের সুখপ্রদ হয় সে বিষয়ে দৃষ্টি রাখিতে হইৰে । এই ভঙ্গী-সঙ্গীত শিক্ষার বয়স ৭/৮ বৎসর পর্যন্ত । ইহার পর হইতে অভিনয় শিক্ষা দিতে হইবে । ১২ বৎসর পর্যন্ত ॥২ জনের ( কথোপকথুন) ও তাহার পরে বহুজনের ( নাটকের ১.অঙ্কিলয় । শিক্ষা দেওয়া রীতি ।